1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ০১:০৬ পূর্বাহ্ন
২৬ আষাঢ়, ১৪৩২
Latest Posts
📰সাতক্ষীরায় ব্র্যাকের উদ্যোগে ৫শ শতাধিক মানুষের মাঝে ফ্রি চুক্ষ চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত📰সুধীজনদের সাথে তালায় নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত📰শ্যামনগরের মানিকখালী-রমজাননগর সড়কের কালভার্টে বেহাল দশা, চলাচলে ঝুঁকি📰আশাশুনি দারিদ্র বিমোচন কার্যালয় ও ৩ অফিস পানির সাথে যুদ্ধ করে চলছে📰সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন📰সাংবাদিক গাজী মোক্তার হোসেনের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের গভীর শোক প্রকাশ 📰সাতক্ষীরায় জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন📰এসএসসির ফল প্রকাশ ১০ জুলাই📰উপজেলায় অধস্তন আদালত সম্প্রসারণে নীতিগতভাবে একমত দলগুলো📰গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৯২

পার্কিং চার্জ নিয়ে জটিলতা

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০২২
  • ২৮৬ সংবাদটি পড়া হয়েছে

যেকোনো সময় বন্ধ হতে পারে বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি

বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে পৌঁছানোর আগে বনগাঁর মিলন পল্লি মাঠের পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বেনাপোল বন্দরে পণ্য-পরিবহণকারী ট্রাকের পার্কিং চার্জ দিন প্রতি ৮০ টাকা থেকে এক লাফে বেড়ে ৮০০ টাকা হওয়ায় ক্ষুব্ধ ভারতীয় রপ্তানিকারক সংস্থার মালিকেরা। পার্কিং চার্জ কমানোর দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে ওপারের বন্দর ব্যবহারকারী ৯টি সংগঠনের ব্যানারে পেট্রাপোল এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট সমন্বয় কমিটি আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। অবস্থান-বিক্ষোভ করেন তারা। দিনের পর দিন পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকায় বহু ট্রাকের পার্কিং বিল ছুয়েছে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা। এই পরিমাণ টাকা দেওয়ার সামর্থ্য না-থাকায় শুক্রবার থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক পার্কিং থেকে বের হয়নি। রাজ্য সরকারের পরিবহন দপ্তরের এই পার্কিং চার্জ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের জেরেই যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।

ভারতের বনগাঁ শহরের উপর দিয়ে এশিয়ার বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোলে পৌঁছনোর ছাড়পত্র দেওয়া হয় ওই মিলন পল্লি মাঠের পার্কিং থেকেই। এতদিন এই পার্কিং দেখত বনগাঁ পৌরসভা। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ওই পার্কিং অধিগ্রহণ করে রাজ্য সরকারের পরিবহন দপ্তর। তার পরেই পার্কিং চার্জে বদল এনে জারি করা হয় নয়া নির্দেশিকা। ওই নির্দেশিকায় পার্কিং চার্জ দিনের হিসেবে ৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০০ করা হয়। ট্রাকভেদে কোথাও কোথাও তা ৯৬০ টাকা থেকে এক হাজার টাকাও হয়েছে। রপ্তানিকারক সংস্থার মালিকদের বক্তব্য, কোনো পণ্যবাহী ট্রাক মিলন পল্লি মাঠে এলেই তো তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় না। অন্তত ৩০-৩৫ দিন পার্কিংয়ে পণ্যবাহী ট্রাক আটকে থাকে। তার পর মেলে ছাড়পত্র। আগে যেখানে পার্কিংয়ের জন্য সব মিলিয়ে ২ হাজার ৪০০ টাকা মতো গুনতে হত, সেখানে এখন দিতে হচ্ছে ২৮ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা।

ওপারের বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, কালিতলা টার্মিনালের পার্কিং চার্জ অতিরিক্ত বৃদ্ধি করায় ওপারের বন্দর ব্যবহারকারী ৯টি সংগঠনের ব্যানারে পেট্রাপোল এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট সমন্বয় কমিটি আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। রবিবার (১৩ মার্চ ) মাইকিং করে আন্দোলনের ডাক দেয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সোমবার (১৪ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক পার্কিং এন্ট্রি করবে না বলে বনগাঁর সমস্ত ট্রান্সপোর্টস, ট্রাকের মালিক ও ড্রাইভারদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। আজকের মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে রাতে সবাই বসে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে তারা হুশিয়ারি দেন। পণ্য পরিবহনের ভাড়ার চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে পার্কিং চার্জ বেশি হয়ে যাচ্ছে। এই বিপুল পরিমাণ পার্কিং চার্জ কে বহন করবে। কোথা থেকে টাকার জোগান আসবে। কে পেমেন্ট করবে এই টাকা। এসব নিয়ে মূলত ক্ষোভ বন্দর ব্যবহারকারীদের।

পেট্রাপোল এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট মেনটেন্যান্স কমিটির সদস্য অসীম সেন বলেন, রাজ্য সরকারের যে কর্মকর্তারা এই নির্দেশিকা জারি করেছেন, তারা হয়তো জানেন না, এখানে কোনো কোনো ট্রাক ৪০-৪৫ দিনও দাঁড়িয়ে থাকে। গত বৃহস্পতিবার থেকে কালীতলা (মিলন পল্লি মাঠ) পার্কিং থেকে কোনো ট্রাক বের করা যায়নি। কারণ, কারও কাছে এত টাকা ছিল না। এত দিন কোভিডের কারণে এমনিতেই ব্যবসার অবস্থা খারাপ। তার মধ্যে পার্কিংয়ের জন্য এত টাকা কি দেওয়া সম্ভব?

রপ্তানিকারক সংস্থার মালিকদের আরও দাবি, শুধু পেট্রাপোলে যাওয়ার জন্যই মোটা টাকা দিতে হচ্ছে। ঘোজাডাঙা হিলির মতো অন্য সীমান্তে যাওয়ার জন্য পার্কিং চার্জ বাড়ানো হয়নি। তাদের হুঁশিয়ারি, রাজ্য পরিবহণ দপ্তর যদি পার্কিং চার্জ না কমায়, তা হলে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে তারা পণ্য রপ্তানি করবেন না। অন্য সীমান্তে চলে যাবেন। নয়তো জাহাজ বা রেলে পণ্য পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।

পার্কিং চার্জ কমানোর দাবিতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জেলা প্রশাসকের দপ্তরেও বৈঠক করেছেন রপ্তানিকারক সংস্থার মালিকেরা। বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে। জেলা প্রশাসকের দপ্তর সূত্রে খবর, পার্কিং চার্জ বাড়ানো হলেও পেট্রাপোলে যাওয়ার ছাড়পত্র যাতে এক-দেড় মাসের পরিবর্তে দু’তিন দিনের মধ্যেই পাওয়া যায়, সেই ব্যবস্থাই করছে রাজ্য সরকার।

ব্যবসায়ীদের পাল্টা দাবি, রাজ্য সরকার যদি দু-তিন দিনের মধ্যে ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ভাবে, তা কার্যত অসম্ভব। কারণ, তার জন্য যশোর রোডের রাস্তা যতটা চওড়া হওয়া বাঞ্ছনীয়, বাস্তবে তা নয়। ফলত, দিনের সংখ্যা কমে দশ হলেও আগের তুলনায় সেই মোটা টাকাই গুণতে হবে রপ্তানিকারণ সংস্থার মালিকদের।

পার্কিং চার্জ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মন্ডল বলেন, বনগাঁর অর্থনীতি সীমান্ত-বাণিজ্যের উপর নির্ভর করে। সেখানে এত টাকা পার্কিং চার্জ! কেউ দিতে পারে নাকি! রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রভূত ক্ষতি হচ্ছে বনগাঁ ব্যবসায়ীদের।

পেট্রাপোল এক্সপোর্ট এন্ড ইমপোর্ট এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ দে বলেন, রপ্তানি পণ্য পার্কিংয়ে রাখলে তার খরচ আমাদের দিতে হয়। পার্কিংয়ে ট্রাক রাখার পরে পেট্রাপোল বন্দরে আসতে ৩৫-৪০ দিন সময় লাগে। বর্তমানে রাজ্য পরিবহন দপ্তর এই টার্মিনালের দায়িত্ব নেওয়ার পর পার্কিং চার্জ যে ভাবে বৃদ্ধি করেছেন সেটা পরিশোধ করা কোন ট্রাক চালক বা মালিকদের পক্ষে সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে পার্কিং ফি বাড়ানোর ফলে আমরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছি। প্রশাসনের কাছে আবেদন, ফি কমানো হোক।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd