নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা- কামরুন নাহার

ঢাকা, ১৩ মার্চ, ২০২২
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব মিজ কামরুন নাহার বলেছেন নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা। নারী শিক্ষিত হলেই নারীর অধিকার, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি সব এসে যাবে। এ উপলব্ধি থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রীদের দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া অবৈতনিক করে দিয়েছেন।
তিনি আজ তথ্য ভবনে শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা কর্মশালায় মূল বক্তা হিসেবে ‘বাংলাদেশের শিশু ও নারী উন্নয়নে মাঠ পর্যায়ে প্রচার কার্যক্রমঃ চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ’ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন।
গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ফারুক আহমেদ, শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক যুগ্মসচিব মোঃ আনছার আলী, উপপ্রকল্প পরিচালক মোঃ তৈয়ব আলী, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান, পরিচালক প্রশাসন মোঃ লিয়াকত হোসেন, আধুনিক তথ্য কমপ্লেক্স এর উপপ্রকল্প পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামানসহ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ ও ৬৪ জেলার তথ্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মিজ কামরু নাহার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, উন্নয়ন ও অধিকার বিষয়ে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে হলে জনসংযোগ বাড়াতে হবে। এর ফলে তথ্যের আদান-প্রদান বাড়বে। তথ্য প্রাপ্তির অধিকার জনগণের রয়েছে। তিনি বলেন, তথ্য মানুষের মনোভাব পরিবর্তনে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমেই মানুষের আচরণের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব।
মিজ কামরুন নাহার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর নিরাপত্তার জন্য আইন করেছেন। সন্তানের পরিচয়ের ক্ষেত্রে পিতার নামের পাশাপাশি মায়ের নাম অন্তর্ভূক্ত করেছেন। তিনি বলেন, জয়িতা আজ নারীর নিজস্ব পরিচয় হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। নারী বিষয়ক যে কোন অপরাধ থেকে নারীকে দ্রুত রক্ষার জন্য ১০৯০, ৩৩৩ ও ৯৯৯ মোবাইল সেবা চালু করেছেন। তিনি বলেন এসডিজি গোলের অন্যতম ধারা ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বাল্যবিবাহ দুর করতে হবে। যৌতুকের অভিশাপ থেকে নারীর পরিবারকে মুক্তি দিতে হবে। এক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ের জেলা তথ্য অফিসারগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। আগামীর পরিকল্পনায় অঞ্চলভিত্তিক আন্তর্ব্যক্তিক যোগাযোগ কার্যক্রম, সোস্যাল মিডিয়া ইত্যাদির উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। এছাড়াও মহিলা সমাবেশ, উঠুন বৈঠক ইত্যাদিতে মহিলার পাশাপাশি তার স্বামী ও শশুর-শাশুড়িকে আনতে হবে। ফলে নারীর কি ধরণের পরিবর্তন দরকার আর পুরো পরিবার কিভাবে সহযোগিতা করতে পারেন-এ বিষয়ে পুরো পরিবারকে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করা যাবে, দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করা যাবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *