ডেস্ক রিপোট; বিদেশে না যাওয়া এবং নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে আগের দেয়া শর্তেই দুর্নীতিতে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ পঞ্চমবারের মতো আরো ছয় মাস বাড়ানো হচ্ছে।
গতকাল আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, পরিবারের আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত জানিয়ে দেয়া হয়েছে। আমি ফাইলটি ছেড়ে দিয়েছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চলে গেছে। আগের শর্তে (বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং দেশে চিকিৎসা নিতে হবে) তার (খালেদা জিয়া) মুক্তির মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ানোর জন্য মতামত দেয়া হয়েছে। সবকিছু আগের মতোই, নতুন কিছু যুক্ত করা হয়নি।
এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করা হলো। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে তার দণ্ডের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত দেয় সরকার। সেই মেয়াদ ২৪ মার্চ শেষ হবে। প্রতিবার একই শর্তে তাকে কারাগারের বাইরে থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী, মুক্ত থাকার সময় খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত বছর ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। দণ্ডের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হলে তিনি কারামুক্ত হন। এরপর চার দফায় দুই বছর তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া গুলশানে তার ভাড়া বাসা ফিরোজায় থাকছেন। তার আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত রোগ রয়েছে। গত বছর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিয়েছেন।
সর্বশেষ গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কথা জানান চিকিৎসকরা। দীর্ঘ ৮১ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত ১ ফেব্রুয়ারি তিনি গুলশানের বাসায় ফেরেন। সে সময় তাকে বিদেশে নেয়ার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল পরিবারের পক্ষ থেকে। তবে দণ্ড স্থগিতের শর্তের কথা মনে করিয়ে দিয়ে সরকার তা নাকচ করে দেয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজায় কারাজীবন শুরু করেন খালেদা জিয়া। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়। তার বিরুদ্ধে আরো ৩৪টি মামলা রয়েছে।
Leave a Reply