বি.সরকার। পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি। পাইকগাছায় সুখেন সরদার হত্যার খুনি প্রকাশ সরদার (৩৫) কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন ও স্থানীয়দের সহয়তায় কয়রার আমাদী ইউপির চক গোয়ালবাড়ী শুশ্বরবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে নিহত সুখেন এর প্রতিবেশি খড়িয়া ভড়েঙ্গারচকস্থ জয়দের সরদারের পুত্র।গ্রেফতারের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে খুনির দেখানো মতে সুব্রত ঢালীর চিংড়ি ঘেরের পশ্চিম পাশের পাড়ে পানিতে পুতে রাখা ক্ষেত নিংড়ানো ধারালো লোহার রড উদ্ধার করেছে। এদিকে কোন হয়রানী ছাড়াই হত্যাকান্ডের ১৫ দিনেই খুনের মোটিভ উদ্ধার ও একমাত্র আসামী গ্রেফতারে এলাকায় মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আটক প্রকাশের স্ত্রী জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন বলে মামলা তদন্ত কর্মকর্তা সুকান্ত কর্মকার জানান। যা মামলা তদন্তে যথেষ্ঠ সহয়তা করবে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রকাশ সরদারের স্ত্রীর সাথে নিহত সুখেন সরদার দীর্ঘদিন পরকিয়ায় জড়িত ছিল। এক সময়ে মোবাইলে কথাপোকথন জানতে পেরে প্রকাশ তার স্ত্রী ও সুখেন কে সতর্ক করে দেয়। কিন্তু সতর্কতায় কোন কাজ না হওয়ায় প্রকাশ স্ত্রীকে আত্মহত্যা করতে বলেন। এর পর সে নিজেকে শেষ করে দেওয়া নতুবা সুখেনকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে। হত্যাকান্ডের ৩ দিন পুর্বে প্রকাশ ক্ষেত নিংড়ানো লোহার রডের মাথা আগুনে তাপ দিয়ে ধারালো করে। ঘটনার দিন ৭ মার্চ রাত সাড়ে ৮ টার পর বাড়ীর অদূরে সুখেন নিজ চিংড়ি ঘেরে পৌছিয়ে কাত হয়ে বাসার দরজা খোলার মুহুর্তে পিছন থেকে প্রকাশ ধারালো রড দিয়ে চোয়ালে আঘাত করে বুকে উপুর্যপুরী চুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারের পর প্রকাশ পুলিশের কাছে প্রাথমিক ভাবে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় নিহতের মা অমেলা সরদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের নামে থানায় হত্যা মামলা করেন, যার নং-৮। হত্যাকান্ডের পর স্থানীয়রা এক ধরনের আতঙ্কে ছিল। হত্যা সম্পর্কে নিহতের পরিবার বা স্থানীয়রা সঠিক কোন তথ্য দিতে না পারায় পুলিশের উপর নির্ভরতা বেড়ে যায়। সর্বশেষ খুনি গ্রেফতারে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ হত্যা মামলা সম্পর্কে ওসি মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, পরকিয়ার জেরে পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। যা গ্রেফতারের পর প্রকাশ সরদার সবই স্বীকার করেছেন।
Leave a Reply