ন্যাশনাল ডেস্ক: ক্ষমতার বলয়ে অতি ধনী-সামরিক-বেসামরিক আমলাদের একটি শক্ত আঁতাত গড়ে উঠেছে অভিযোগ করে ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি বলছে, প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরসহ কোভিডকালের দুটি বাজেটেই তাদের স্বার্থরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দলটির পলিটব্যুরোর অভিযোগ, করোনাকালের দুটি বাজেটের একটিতেও জনগণের জীবন ও জীবিকাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। রবিবার (৬ জুন) বিকালে প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে ওয়ার্কার্স পার্টি এ প্রতিক্রিয়া জানায়। এ দিন দলের সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে পলিটব্যুরোর বাজেট পর্যালোচনা ও গৃহীত প্রস্তাবে এমন মত উঠে আসে। স্বাস্থ্যখাতের বরাদ্দ সম্পর্কে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রস্তাবে বলা হয়, গত বছরের চাইতে কয়েক হাজার কোটি টাকা এ খাতের বরাদ্দ বৃদ্ধি পেলেও, তা সামগ্রিক জিডিপি-র ১ শতাংশের কিছু উপরে; যা প্রতিবেশী নেপাল, ভারত, শ্রীলংকা এমনকি পাকিস্তানের চাইতেও কম। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দলটির অভিযোগ, অর্থমন্ত্রী গত বছরগুলোতে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতিকে মোটেই আমলে নেননি। কোভিডকালে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যে দুর্নীতি ও দুরবস্থা বেরিয়ে এসেছে তার থেকে উত্তোরণের কোন পরিকল্পনা বা দিকনির্দেশনা বাজেটে নেই। প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দের প্রতিক্রিয়ায় ওয়ার্কার্স পার্টি বলছে, কোভিড-১৯ যেখানে সমগ্র শিক্ষাজীবন দেড় বছর পিছিয়ে পড়েছে সেখানে অনলাইন শিক্ষাসহ বিকল্প শিক্ষার জন্য যে সকল প্রণোদনা দেয়া প্রয়োজন ছিল তা অনুপস্থিত বরঞ্চ বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপর নতুন করে করারোপ করা হয়েছে, যা শিক্ষার বর্তমান পরিস্থিতিতে একেবারেই অযৌক্তিক। দলটির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, কৃষি ক্ষেত্রে বরাদ্দ নিয়ে কৃষিমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করলেও কৃষক সন্তুষ্ট নয়। কৃষি যান্ত্রিকীরণের সুবিধা ভোগ করছে বড় চাষী। এই বাজেটে পূর্ব প্রতিশ্রুত ২৪০টি উপজেলায় প্যাডিসাইলো প্রতিষ্ঠা, সমবায়ী পরিচালনা ব্যবস্থার কোন কথা নাই। আর ক্ষেতমজুরদের পেনশনের প্রশ্নটিও উপেক্ষিত। ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, তিস্তাসহ নদী ব্যবস্থাপনার ব্যপারে বাজেট নীরব। নীরব অর্থনৈতিক বৈষম্য ও উত্তরাঞ্চলে আঞ্চলিক বৈষম্য নিয়ে। পলিটব্যুরোর বাজেট পর্যালোচনা সভায় ও তার ভিত্তিতে গৃহীত প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, আনিসুর রহমান মল্লিক, মাহমুদুল হাসান মানিক প্রমুখ।
Leave a Reply