সংবাদদাতা: ঈদকে সামনে রেখে কলারোয়ায় নীরব চাঁদাবাজি চলছে। ইটভাট থেকে শুরু করে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, উপজেলার কৃষি অফিস, মৎস্য অফিস, সমাজসেবা অফিস, বিআরডিবি অফিস, একটি বাড়ী একটি খামার, মহিলা বিষয়ক অফিস, পিআইও অফিস, এলজিইডি অফিস, একাউন্টস অফিস, খাদ্যগুদাম, রেজিষ্ট্রি অফিস, ইউনিয়ন ভুমি অফিস, আনছার ভিডিপি অফিস, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অফিস, জেলা পরিষদ সদস্যর অফিস, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির অফিস, প্রাণীসম্পাদ অফিস, থানা পুলিশের কিছু সদস্য রয়েছে তাদের তারগেট। এর মধ্যে অকেকে চাঁদা তুলতে শুরু করেছে। এই চাঁদাবজরা টাকা কম হলে হুমকিও দিচ্ছে যায়গা বিশেষ স্থানে। অনেকে ভয়ে মুখ খুলছেন না ভোক্তভোগীরা। তারা আপসে মেটাচ্ছেন চাঁদাবাজদের দাবি। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিগত বছরগুলোর মতো এবারও ঈদ ঘিরে সক্রিয় চাঁদাবাজদের বিভিন্ন গ্রুপ। এরা সবাই পরিচিত কিংবা মুখ পরিচিত। যে কারণে পুলিশে অভিযোগ করেন না তারা। খোরদো এলাকার এক ভাটা মালিক জানান- ২০ রোজার পর থেকেই শুরু হয়েছে ঈদ সেলামি দেয়া। না দিলে রেহাই নেই। লাইফ ও ব্যবসার রিস্ক থাকে। প্রতিবার চাঁদা দিয়ে আসছেন কিন্তু এবার উৎপাত একটু বেড়েছে। এদিকে চাঁদাবাজদের উৎপাতে রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন কলারোয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যাণগণ। তারা জানিয়েছেন, চাঁদার পরিমাণ বেড়ে তিনগুণ হয়েছে। কলারোয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোসলেম আহম্মেদ বলেন, কতিপয় কিছু সাংবাদিক নামধারী অসাধু ব্যক্তি বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবীর বলেন, রমজানে ছিনতাই, টানা পার্টিসহ সব ধরনের অপরাধ দমনে পুলিশ বরাবরের মতো বিশেষ টহলের ব্যবস্থা করেছে। রাতে বাজার নিরাপত্তায় পুলিশ কাজ করছে। এখন পর্যন্ত কলারোয়াতে বড় ধরনের অপরাধ ঘটেনি। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি আরো বলেন-কলারোয়াতে যদি আমরা থাকি তবে কোনো চাঁদাবাজ থাকতে পারবে না। চাঁদাবাজ যেই হোক, অভিযোগ পেলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে পুলিশের অবস্থান জিরো টলারেন্স। এদিকে কেউ কাউকে ভয়দেখিয়ে টাকা পয়সা দাবী করে হুমকি ধামকি দিলে তাৎক্ষনিক ভাবে কলারোয়া থানা পুলিশ-ওসি-০১৩২০১৪২২০৫, উপজেলা নির্বাহী অফিসার-ইউএও-০১৭০৯৩১৯৭৩০৯ ও উপজেলা পরিষদ-চেয়ারম্যান- ০১৭১২২০২৯০৭ এর জানানোর জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
Leave a Reply