মশাল ডেস্ক: সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বেড়েছে। এতে করে বেড়েছে নির্মাণ খাতের পণ্যটি থেকে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) এ বন্দর দিয়ে ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৭১৭ টন পাথর আমদানি হয়েছে, যা থেকে সরকারের রাজস্ব এসেছে ১১৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
ভোমরা শুল্কস্টেশনের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ১৭ লাখ ৭০ হাজার ২১০ টন পাথর আমদানি হয়েছিল। সে সময় এটি থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১০৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এ হিসাবে চলতি অর্থবছরের পাথর আমদানিতে রাজস্ব আয় বেড়েছে ৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। একইভাবে পণ্যটির আমদানি বেড়েছে ২৩ হাজার ৫০৭ টন।
বন্দরসংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, করোনার মধ্যেও বন্দর দিয়ে নির্মাণ খাতের পণ্যটির আমদানি বেড়েছে। এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৮০ থেকে ২০০ ট্রাক পাথর আমদানি করা হয়ে থাকে। আমদানি হওয়া এসব পাথর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়।
বন্দরসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের অন্যসব বন্দরের তুলনায় ভোমরা বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি করা সবচেয়ে সহজ। এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন ভালো, তেমনি পরিবহন খরচেও অনেক সাশ্রয় হয়। যানজট থাকে না। ফলে দেশের বিভিন্ন এলাকার আমদানিকারক এখন ভোমরা বন্দর দিয়ে পাথর আমদানির পরিমাণ বাড়িয়েছেন।
ভোমরা স্থলবন্দরের অন্যতম পাথর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রোহিত ট্রেডার্স। প্রতিষ্ঠানটি আমদানীকৃত পাথর দেশের বড় বড় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী জানান, ভারতের ঝাড়খণ্ড এলাকা থেকে নির্মাণকাজে ব্যবহূত পাথর আমদানি করেন তিনি। তার প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন ২৫-৩০ ট্রাক পাথর আমদানি করে। বর্তমানে আমদানির পরিমাণ আরো বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, এ বন্দর দিয়ে ৭৩ প্রকার পণ্য আমদানির অনুমতি রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ আমদানি করা হয় পাথর। প্রতিদিন ১৮০-২০০ ট্রাক পাথর আমদানি হয়ে থাকে এ বন্দর দিয়ে।
এ বিষয়ে ভোমরা শুল্কস্টেশনের দায়িত্বে থাকা কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার আমীর মামুন বণিক বার্তাকে বলেন, এ বন্দর দিয়ে যে পণ্য আমদানি হয়ে থাকে, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ আসে পাথর। গত অর্থবছরের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবছরে পাথরের আমদানি বেড়েছে।
Leave a Reply