আব্দুল হান্নান : আবারো লকডাউন নড়েচড়ে বসেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। লকডাউনের খবর শুনেই পন্য গুদামজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এসকল অসাধু ব্যবাসায়ী। এসকল অসাধূ ব্যবসায়ীর বদ্ধমূল ধারনা লকডাউনের মেয়াদ আরো বাড়তে পারে এবং তারসাথে যোগ হয়েছে আসন্ন পবিত্র রমজান মাস। এমনিতেই রমজান মাসের শুরুতে ব্যবসায়ীরা পন্য গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মূল্য বৃদ্ধি করে থাকে এরইসাথে লকডাউনের কড়াকড়িতে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামালের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের স্বাভাবিক জীবনকে দূর্বিষহ করে তুলতে পারে। অনেক ব্যবসায়ী ইতিমধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদি গুমাতজাত করে ক্রেতাদের ঐসকল পন্য নাই বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এদিকে আগামী সোমবার থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষনার পর থেকে উপজেলার সকল বাজারে ক্রেতাদের কেনাকাটা বেড়ে গেছে। লকডাউন শুরু হলে সবকিছু বন্ধ হয়ে যাবে এই আশঙ্খা সকলের মাঝে। স্থানীয় প্রশাসন আশ্বস্থ করলেও ক্রেতাদের মধ্যে বিরাজ করছে এক ধরনের অস্থিরতা। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা সংকট তৈরি করে বাজার ব্যবস্থা অস্থিতিশীল করতে পারে বলে ধারনা সূধীজনের। এ বিষয়ে শ্যামনগরের বিশিষ্ট সমাজসেবক মনিরুজ্জামান বলেন, “স্থানীয় প্রশাসন কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করে অসাধূ ব্যবসায়ীদের আইনগত ব্যবস্থা নিলে বাজারে কৃত্রিম সংকট ও দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি হবে না” তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিংয়ের আহবান জানান।
লকডাউন এবং আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে অসাধূ ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট ও দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়াতে না পারে সেজন্য প্রশাসন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি বাজার মনিটরিং করে বাজার ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখুক এটাই আশা করে ভোক্তাসাধারণ।
Leave a Reply