৪৩ বছর বয়সে সেরা হয়েই অবসর

ক্রীড়া ডেস্ক: তার সামনে নতুন কুস্তিগীররা বেড়ে উঠেছেন। এর পরেও বিল্লাল হোসেনের সাফল্যে কোনও ভাটা পড়েনি। জাতীয় কুস্তিতে আগে থেকেই ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। সর্বশেষ অজেয় থেকেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসে সোনা জিতেছেন। আর এটিই হয়ে থাকছে তার জীবনের শেষ গেমস! কারণ ৪৩ বয়সী কুস্তিগীর এই যে শুক্রবার জীবনের শেষ ম্যাচটিও খেলে ফেললেন!
শেখ রাসেল রোলার স্কেটিংয়ের ম্যাটে ১২০ কেজি ওজন শ্রেণিতে সবাইকে ছাড়িয়ে আবারও সেরা হয়েছেন কুস্তির এই পোস্টারবয়। অবশ্য আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন এটাই তার শেষ প্রতিযোগিতা। তাই শেষটা জয় দিয়েই রাঙিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের এই কুস্তিগীর।
ফর্ম থাকা সত্ত্বেও কুস্তির ম্যাট থেকে বিদায় নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিল্লাল বলেছেন, ‘অনেক তো হলো, আর কতো। এবার সম্মান থাকতে থাকতেই বিদায় নিলাম। আর কোনও সময় কুস্তির ম্যাটে নামবো না। নতুন যারা আছেন, তারাই কুস্তিকে নিশ্চয়ই আগামীতে এগিয়ে নেবেন।’
২০ বছর বয়সে প্রথমবার কুস্তির সঙ্গে পরিচয় বিল্লাল হোসেনের, সেটা ১৯৯৮ সালের কথা। জাতীয় মঞ্চে প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নামেন ২০০৪ সালে। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা এখন পর্যন্ত জাতীয় কোনও ইভেন্টে হার নেই তার! জাতীয় ও বাংলাদেশ গেমস মিলিয়ে মোট ১৪টি সোনার পদক তার ঝুলিতে।
কোনও প্রতিযোগিতায় হারের রেকর্ড না থাকার পেছনে বিল্লাল মনে করেন, ‘আমি সবসময় চেষ্টা করেছি। নিজেকে ফিট রাখতে, অধ্যাবসায় ছিল। যখনই ম্যাটে নামবো, সেরা হতে হবে। সেই চেষ্টার ফসল বলতে পারেন আমার এমন সাফল্য।’
খেলোয়াড়ি জীবন শেষে এখন কোচ হওয়ার তীব্র ইচ্ছা বিল্লালের। যদিও এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তবে এটা নিশ্চিত কুস্তির সঙ্গে বসতি বিল্লাল হোসেন নিজের ভবিষ্যতও দেখছেন এই শরীর ভিত্তিক খেলাতেই!

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *