অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি আজ বুধবার এক বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে ‘তাণ্ডবি’ হেফাজতি রাজনৈতিক মোল্লাদের বিরুদ্ধে জ্বালাও-পোড়াও-ভাঙচুর-লুটপাট-আগুন সন্ত্রাস-রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত সম্পদ ক্ষতি ও ধ্বংস-সহিংসতা-নাশকতা-অন্তর্ঘাতের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্র-সংবিধানকে অস্বীকার এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতীক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুরের সুনির্দিষ্ট অপরাধে রাষ্ট্রদোহিতা এবং সরকার উৎখাতের অপচেষ্টার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে সুনির্দিষ্ট মামলা দায়েরের দাবি করা হয়। এ ছাড়া দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন বিবৃতিদাতারা।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ রাষ্ট্র, সংবিধান ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অস্বীকারকারী রাষ্ট্রদ্রোহীদের ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের মতোই কঠিন শাস্তি প্রাপ্য। জাসদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি, হেফাজতসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ‘সরকার গণহারে আলেম-উলামাদের গ্রেপ্তার করছে’ বলে প্রদত্ত বক্তব্যকে সম্পূর্ণ মিথ্যাচার দাবি করে বলেছেন, বিএনপি, হেফাজত ও তাদের রাজনৈতিক পার্টনাররা দেখাতে পারবে দেশের কোনো মসজিদের একজন খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশের সব মসজিদেই সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য্যবিধি মেনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুমার নামাজ, তারাবির নামাজ আদায় হচ্ছে। হেফাজতি তাণ্ডবি রাজনৈতিক মোল্লারা ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতি করে, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে এরা মসজিদে ইমামতিও করে না, মানুষকে ধর্মের শিক্ষাও দেয় না। এরা ধর্মের নামে মাদরাসার নিরীহ ছাত্রদের নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ ও ব্যক্তিগত ভোগে ব্যবহার করে।
এ ছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে যেমন ঐতিহাসিক গণ-আন্দোলন পরিচালিত হয়েছিল, ঠিক তেমনই রাষ্ট্রদ্রোহী হেফাজতি তাণ্ডবি রাজনৈতিক মোল্লাদের বিচারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য দেশের সব দেশপ্রেমিক, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, মানবতাবাদী রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির প্রতি আহ্বান জানান বিবৃতিদাতারা।
Leave a Reply