অপরিশোধিত মধুকে ছাঁকা হয় না। মধুকে পরিশোধন করলে অনেক উপাদান বেরিয়ে যায়। পাস্তুরীকরণের ফলে ইস্ট কোষের মৃত্যু ঘটে। স্বাদে পরিবর্তন আসে। মধু অনেকদিন টেকসই হয়, রং হয় বাদামি ঘেঁষা সোনালি। কিন্তু মধুর অনেক খাদ্যগুণই তাতে নষ্ট হয়ে যায়। অপরিশোধিত মধু সরাসরি মৌচাক থেকে সংগ্রহ করা হয়। তাতে থাকে মৌমাছির পরাগ, যা খুবই উপকারী। এছাড়া মৌমাছির আঠা এবং বেশ কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর।
মধু যখন প্রকৃতির মধ্যে থাকে, তার ভিতর কিছু জীবাণুনাশক এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। ক্ষতস্থান নিরাময় করতে, দীর্ঘদিনের সর্দিকাশি সারাতে, প্রদাহের উপশম ঘটাতে সেগুলি কাজে লাগে। অপরিশোধিত মধু অনেক খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। যেমন নিয়াসিন, রিবোফ্লাভিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়াম, ফসফরাস এবং দস্তা।
এক টেবিলচামচ অর্থাৎ ২১ গ্রাম অপরিশোধিত মধুতে ৬৪ ক্যালোরি এবং ১৬ গ্রাম শর্করা থাকে। সেই শর্করার অর্ধেকের বেশি যদিও ফলশর্করা, যা সবার উপকারী নয়। ফলশর্করা বাদ দিলে চিনির থেকে মধু বেশি উপকারী। কোনো গবেষকের মতে মধু ডায়বেটিস থেকে রক্ষা করে, এবং কিছু ধরনের মধু কোলেস্টেরল লেভেলের উন্নতিতে সাহায্য করে।
Leave a Reply