ন্যাশনাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ঢাকার বাইতুল মোকাররম, সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে, গাজীপুর, সহ প্রভৃতি জায়গায় শুক্রবার (২ এপ্রিল) বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম।
এ সময় কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানেননি সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা। এমনকি কারও মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।
দেশব্যাপী পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলের কর্মী-সমর্থকরা বাদ জুমা বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে সমাবেশে মিলিত হন তারা। ঢাকার সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির আমির জুনায়েদ বাবু নগরী, মামুমুল হক প্রমুখ, অপরদিকে সিলেটের সমাবেশে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলাম কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সিলেট জেলার সভাপতি মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি, হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা রেজাউল করিম জালালী, মাওলানা ফয়জুল হাসান কাদিমানী প্রমুখ।
এদিকে সমাবেশ চলাকালে জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম, সিলেটের কোর্ট পয়েন্ট ও আশেপাশে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়। যেকোনো ধরনের নাশকতা প্রতিহত করতে তৈরি করা হয় বাড়তি নিরাপত্তা।
এদিকে গাজীপুর মহানগরের চৌরাস্তা জামে মসজিদ এলাকায় হেফাজতে ইসলাম ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তাদের র্পূবঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি প- হয়ে যায়।
শুক্রবার বাদ জুমার পর হেফাজতকর্মীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যেতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এসময় কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে সাত পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার বেলা ১১টা থেকেই গাজীপুর চৌরাস্তা ও বোর্ডবাজার জামে মসজিদের চারপাশে পুলিশ সশস্ত্র সতর্ক অবস্থানে থাকে। জুমার নামাজের শেষে দুপুর ২টার দিকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে হেফাজত কর্মীরা গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা জামে মসজিদ থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উঠতে চান। বাধা দিলে কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) শরীফুর রহমান জানান, হেফাজতে ইসলামের পূর্ব নির্ধারিত বিক্ষোভ কর্মসূচি তাদের মসজিদ চত্বরেই পালনের অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারা মহাসড়কে উঠার চেষ্টা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাক বিত-ায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে হেফাজতকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল
নিক্ষেপ শুরু করে। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা, শতাধিক রাউন্ড টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি করা হয়। এ ঘটনায় কেউ নিহত হননি। ইটপাকেলের আঘাতে পুলিশের সাত সদস্য আহত হয়েছেন। তাদেরকে স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply