হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক একজন অঘটন ঘটন পটিয়সী। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া একাধিক নারী সঙ্গের কারণে সম্প্রতি টক অব দ্য কান্ট্রি তিনি। জান্নাত আরা ঝর্ণা ছাড়াও আরেক মাদ্রাসা শিক্ষিকার সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্কের একাধিক অডিও কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।
কথিত আন্দোলনে হেফাজতের ১৭ জন নেতাকর্মীর মৃত্যুর রেশ না কাটতেই ডিভোর্সী নারী নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁর রয়েল রিসোর্টে অবকাশ যাপনে গিয়ে তিনি নতুন বিতর্কের জন্ম দেন। প্রথম স্ত্রী ছাড়াও আরো দুই নারীকে স্ত্রী হিসাবে দাবি করলেও এর আইনী ভিত্তি মিলছে না। তবে টাকার জোরে অনেক নারীকে তিনি ‘বশ’ করলেও সেই টাকার উৎস্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। রবিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে তাকে মোহাম্মদপুরের মাদাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
একাধিক সূত্র মতে, মামুনুলের আয়ের উৎস্য নিয়ে রহস্য রয়েছে। শুধুমাত্র মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে এতো টাকার মালিক হওয়া যায় না বলে খোঁদ হেফাজত নেতারা দবি করেছেন। ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে টাকা আয় ছাড়াও বিদেশী একাধিক এনজিও এবং সংস্থার মাধ্যয়ে তার আয় রয়েছে বলে জানা গেছে। তার ওই আয় অপ্রদর্শিত।
এদিকে ফেসবুক লাইভে ও স্ট্যাটাস দিয়ে সমালোচিত মামুনুল একেক সময় একেক বক্তব্য দিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে, স্ত্রীকে খুশি করতে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে কোনও সত্যকে গোপন করারও অবকাশ রয়েছে।’ ফেসবুক লাইভে এসে মামুনুল হক এসব কথা বলেন। এছাড়া তিনি মাদাসা শিক্ষার্থীদের নানাভাবে উস্কানি দিয়েছেন। সরকারবিরোধী বক্তব্য দিয়ে উত্তাপ ছড়িয়েছেন।
গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের হওয়া একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক মোদিবিরোধী আন্দোলনের সময়ও সহিংসতা করায় একাধিক মামলায় মামুনুল হকের নাম রয়েছে। প্রথমে তাকে পুরনো মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। পরে একে একে সব মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
Leave a Reply