দেবহাটা প্রতিনিধি: মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধে সরকারের পক্ষ থেকে সারাদেশে গেল ১৪ এপ্রিল থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহের লকডাউন জারি ও জারিকৃত লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগের জন্য প্রশাসনের প্রতি নির্দেশনা থাকা স্বত্ত্বেও দেবহাটাতে কারনে অকারনে এবং নানান অজুহাতে লকডাউন অমান্য করছে মানুষ। লকডাউনের প্রথম দুদিন অনেকাংশে মেনে চললেও পরের দুদিনে বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে মানুষের উপস্থিতি। নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত না হওয়ায় হাটবাজার ও রাস্তাঘাটে বেড়েছে মানুষের লাগামহীন উপস্থিতি। লকডাউনকালীন সময়ে কেবলমাত্র জরুরী সেবার জন্য প্রয়োজনীয় যানবহন চলাচলের কথা থাকলেও, গেল দুদিনে রীতিমতো যাত্রীবোঝাই করে অবাধে শুরু হয়েছে মোটর সাইকেল, মোটরভ্যান, ইজিবাইক ও মাহিন্দ্রার চলাচল। অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য, কাঁচা বাজার, ফার্মেসী সহ জরুরী ভিত্তিতে দরকারি ব্যবসা প্রতিষ্টান সীমিত পরিসরে খোলা রাখার অনুমতি থাকলেও, ক্রমশ অন্যান্য দোকানপাট খোলার প্রবণতা বেড়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। পূর্ব থেকে চলে আসা আইন অমান্যের প্রবণতা, অসচেতনতা, একগুয়েমি ও লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য কঠোর আইন প্রয়োগ না হওয়ার কারনেই উপজেলাতে ক্রমশ লকডাউন উপেক্ষিত হচ্ছে। এছাড়াও অনেকেই জীবিকার তাগিদে ঘরছেড়ে বাইরে বের হচ্ছেন। মানুষের মাঝে আইন মেনে চলার প্রবণতা হ্রাস পাওয়ায় কঠোর অবস্থানে থেকেও মানুষকে ঘরে ফেরাতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হচ্ছে থানা পুলিশকে। রবিবার দিনভর উপজেলার পারুলিয়া, সখিপুর, দেবহাটা সদর, নওয়াপাড়া, গাজীরহাট ও কুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব সাহার নেতৃত্বে সাধারণ মানুষকে ঘরে ফেরাতে কঠোর পরিশ্রম করতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের। তবে পুলিশের সামনে পড়লেই ঔষধ কেনা, বাজার করা, অসুস্থতার কারনে ডাক্তারের কাছে যাওয়া ইত্যাদি অজুহাত খাড়া করে এযাত্রায় রেহাই চাইতে গেছে লকডাউন অমান্যকারীদের। সর্বাত্ম লকডাউন বাস্তবায়নের বিষয়ে ওসি বিপ্লব সাহা বলেন, বর্তমানে একেতো মানুষের মধ্যে আইন অমান্যের প্রবণতা বেশি, অন্যদিকে সড়কে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত না হওয়ায় কেবলমাত্র পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে হিমসিম খেতে হচ্ছে। অন্যান্য স্থানের মতো যদি দেবহাটাতেও নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হতো তাহলে মানুষ আইন অমান্যের সাহস পেতো না। তবে মানুষকে ঘরে ফেরাতে থানা পুলিশের এ অভিযান ক্রমশ জোরদারসহ অব্যহত থাকবে বলেও জানান ওসি।
Leave a Reply