দেবহাটার যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার ২ সন্তানের জননী


দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটার বহেরায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে তাজমিরা খাতুন নামের দুই সন্তানের এক জননী। নির্যাতনের স্বাীকার তাজমিরা সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুরুত্বর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে।
নির্যাতনের স্বীকার তাজমিরা জানায়, গত ৮ বছর আগে কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা গ্রামের শেখ মোস্তাফিজুর রহমানের কন্যা তাজমিরা খাতুনের সাথে দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামের আজগার আলী মোল্যার ছেলে ইয়াছিন আলী মোল্যার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের ২ বছর খুব ভালো ভাবে সুখে-শান্তিতে সংসার করছিলো স্বামী-স্ত্রী। কিছুদিন যেতে না যেতেই ইয়াছিন আলী মোল্যা বিভিন্ন অজুহাতে তার স্ত্রী তাজমিরা খাতুনকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলে। তাজমিরা তার বাবার কাছ থেকে গরু বিক্রয় করে কিছু টাকা এনে দেয়। কিন্তু তাতেও ইয়াছিনের চাহিদা না মেটায় আবারও টাকা আনতে বলে। তাজমিরার পিতা দরিদ্র ভ্যান চালক হওয়ায় সে টাকা আনতে পারে না। তারপর থেকে খুটি-নাটি বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত তাকে বেদম মারপিট করে ইয়াছিন আলী। এরপর তাজমিরা দেবহাটা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে স্থানীয় ভাবে গন্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে ২৮ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মুচলেকা দিয়ে পুনরায় স্ত্রী তাজমিরাকে নিয়ে ঘর-সংসার করার কথা বলে রেহাই পায় ইয়াছিন আলী মোল্যা। কিছু দিন যেতে না যেতেই আবারও পূর্বের ন্যায় নির্যাতন শুরু করে স্বামী ইয়াছিন। এক পর্যায়ে গত ২৩ এপ্রিল শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে তাজমিরাকে শারীরিক ভাবে অমানুষিক নির্যাতন চালায় ইয়াছিন আলী। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাজমিরা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে স্থানীয়রা তাকে মূমুষ্যু অবস্থায় দ্রুত সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
তাজমিরার পরিবারের পক্ষ থেকে ইয়াছিন আলীর কাছে অমানুর্ষিক নির্যাতন চালানো বিষয় জানতে চাইলে সে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে, তোদের মেয়ের লাশ পাঠায়নি তাই তোদের কপাল ভাল এবং বলে তোদের যা ক্ষমতা আছে করিস। ঐ সময়ে মোবাইল ফোন ইয়াছিনের মাকে বলতে শোনা যায় ওর মেরে কবরে পাঠাবো। তবে নির্যানের স্বীকার তাজমিরার পরিবার আইনগত ব্যবস্থার জন্য আদালতে দারস্থ হবেন বলে জানান।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *