আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামী জুন-জুলাইয়ের আগে ভ্যাকসিন রফতানির সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। বুধবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদর পুনাওয়ালা ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তারা আপাতত ভারতের চাহিদাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে সেরামের তৈরি তিন কোটি ডোজ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন কেনার চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে দেওয়ার কথা। তবে এখন পর্যন্ত দুই ধাপে মাত্র ৭০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছে বাংলাদেশ। আর ভারত সরকার উপহার হিসেবে দিয়েছে ৩২ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন।
এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আদর পুনাওয়ালা বলেছেন, আপাতত ভ্যাকসিন রফতানির বিষয়ে তারা নিশ্চিত নন। তার ভাষায়, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মাস দু-একের মতো আমাদের রফতানির কথা ভাবা যাবে না। আশা করি জুন-জুলাই থেকে আবারও একটু করে রফতানি শুরু করতে পারবো। এই মুহূর্তে আমরা দেশের চাহিদাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট ভ্যাকসিন সংকটের কারণে রফতানি বন্ধ রেখেছে ভারত। বাংলাদেশে ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিনের এক কোটি দুই লাখ ডোজের মধ্যে বেশিরভাগই প্রয়োগ করা হয়েছে। সেরাম চুক্তি অনুযায়ী ভ্যাকসিন সরবরাহে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে বিকল্প উৎস সন্ধানের চেষ্টা করছে।
Leave a Reply