কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : কালিগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী একজন প্রকল্প গায়েব করা জ¦ীন। উপজেলার এল জি ই ডি দপ্তরের সকল প্রকল্পের কাজ অনিয়ম ও নিন্ম মানের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে এডিপির অর্থায়নে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় ব্রীজ সংস্কার ও প্যালাসাইডিং করণ প্রকল্প উপজেলা পরিষদ থেকে পাশ হয়ে টেন্ডার হয়। কিন্তু উপজেলা ইঞ্জিনিয়র জাকির হোসেন ৪ নং প্যাকেজের রতনপুর ইউনিয়নের বাগমারী স্কুল সংলগ্ন ব্রীজ ও তারালী ইউনিয়নের প্যালাসাইডিং করণ প্রকল্পটি গায়েব করে ঠিকাদারের সাথে টাকা ভাগাভাগি করে যোগসাজসের মাধ্যমে বিল জুন ২০২০ সালে উত্তোলন করেন। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী জানতে পেরে গত ২৮ মার্চ ২০২১ তারিখে প্রকল্প ২ টির ফাইল ও প্রকল্প সমাপ্তির ছবি উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে প্রেরণ করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে চিঠি করেন। চিঠি পাওয়ার পর উপজেলা ইঞ্জিনিয়র তড়ি ঘড়ি করে বাগমারি ব্রীজের হাতলের সংস্কারের কাজ শুরু করে দেন। কিন্তু তড়ি ঘড়ি করে কাজ করতে গিয়ে ৫ টাকা ফুটের ভরাট বালু, নিন্ম মানের পাথর, ইটের খোয়া ও নাম মাত্র সিমেন্ট দিয়ে কাজ করার ফলে সেন্টারিং এর তক্তা খোলার সাথে সাথে সেগুলো ঝরে পড়ে রড বাহির হয়ে যায়। এ বিষয়ে এলাকা বাসি হট্ট গোল শুরু করিলে তখন উপজেলা চেয়ারম্যান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে দেখেন ১০ মাস আগে প্রকল্প শেষ হয়েছে বিলে স্বাক্ষর করে নিলেও সে কাজ করা হচ্ছে এখন। তখন তিনি ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে খবর দিয়ে নিয়ে যান। স্থানীয় বাগমারি জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন মোঃ আমিনুর রহমান, আলহাজ¦ আব্দুল মুজিদ, আক্তার হোসেন, আসাদ্জ্জুামান, মোঃ সাইফুল ইসলাম সোহেল গ্রাম পুলিশ হরিপদ মৃধা, মুজিবুর রহমান, রাসেল হোসেন জানান, কাজ করা শ্রমিকদের কাছে কে কাজ করছে জানতে চাইলে শ্রমিকরা বলেন, আমাদেরকে কালিগঞ্জ উপজেলা ইঞ্জিনিয়র কাজ করাচ্ছেন। এছাড়া আমরা কিছু জানি না। তা ছাড়া তাহারা জানান কাজটি খুবই নিন্মমানের। মূলত কাজটি পেয়েছিলেন জাহিদ এন্টারপ্রাইজ কালিগঞ্জ সাতক্ষীরা। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরকম ধরনের কাজ সম্পর্কে আমার জানা নেই। কিন্তু যখন বলা হয় কাজ করা মিস্ত্রি তো আপনি কাজ করা্েচছন বলছে। তখন তিনি বলেন মিস্ত্রিদের কে আমাকে একটু ফোন দিতে বলেন তো। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা ইঞ্জিনিয়র কাজ সমাপ্ত হয়েছে বলে ৩০ জুন ২০২০ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোজ্জামেল হক রাসেল ও আমার কাছ থেকে স্বাক্ষর করে নিয়ে যান। পরে জানতে পারি এ প্রকল্পের কাজ না করে ঠিকাদার ও উপজেলা ইঞ্জিনিয়র টাকা ভাগাভাগি করে প্রকল্প গায়েব করে ফেলেছে। আস্তে আস্তে জানতে পারছি উপজেলা ইঞ্জিনিয়র এডিপির ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের কাজে গায়েব, অনিয়ম ও দূর্নীতি করেছে। আমি সকল প্রকল্প গুলো এখন দেখছি। বাগমারি ব্রীজের কাজটিও আমি দেখতে গিয়েছি কাজ খুবই নিন্ম মানের। তাছাড়া সবচেয়ে বড় কথা হলো যে কাজ ২০২০ সালের ৩০ জুনে সমাপ্ত দেখানো হয়েছে সে কাজ এখন কেন করা হচ্ছে। এবিষয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমি এলজিইডির উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে লিখবো।
Leave a Reply