নিজস্ব প্রতিনিধি: শিশু কণ্যার যৌন নির্যাতনকারির বিচার না পেয়ে দু’ সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার বিকেল ৫টায় লাশ তিনটি কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এদিকে আত্মহননকারি মাহফুজা খাতুনের ভাই যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের বসতপুর গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মশিয়ার রহমান বাদি হয়ে শুক্রবার সন্ধায় ধর্ষণের চেষ্টাকারি হৃদয় গাজী, তার বাবা লাল্টু গাজী ও আত্মহননকারি মাহফুজার চাচা শ্বশুর ইয়াকুব আলীর নাম উলে¬খ করে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে মাহফুজা ও তার দু’ সন্তানের লাশের ময়না তদন্ত শুরু করেন সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ অসীম সরকার ও ডাঃ সেলিম রেজা। সুরতহাল প্রতিবেদনের সঙ্গে মৃতদেহের কোন কোন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখে দায়িত্বপালনকারি চিকিৎসক ময়না তদন্তের কাজ বন্ধ রেখে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারি কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক আবু হানিফকে ডেকে আনেন মর্গে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন সংশোধন করে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়। বিকেল ৫টার দিকে পূর্ব লাঙ্গলঝাড়া গ্রামে নামাজে জানাযা শেষে লাশ তিনটি দাফন করা হয়।
শুক্রবার ময়না তদন্তের দায়িত্বে থাকা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ সেলিম রেজা সুরতহাল প্রতিবেদনে ত্রটি থাকার কথা অস্বীকার না করেই বলেন, ময়না তদন্ত প্রতিবেদন না দেওয়ার আগে কোন মন্তব্য করা যাবে না।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর খায়রুল কবীর জানান, মশিয়ার রহমানের এজাহারটি তিনি পেয়েছেন। যাঁচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply