আশাশুনি প্রতিনিধি ঃ আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট বেড়ী বাঁধের নির্মান কাজে অনেক অনিয়মের মধ্যে পুরনো বাঁধের থেকে ৩ ফুটের স্থলে ১ ফুট উঁচু করে বাঁধ নির্মানের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদর ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের পর এ তথ্য চাউর হতে শুরু করেছে।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলনসহ একাধিক সংশ্লিষ্ট প্রত্যক্ষ দর্শী সূত্রে জানা গেছে, পাউবো কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে বাঁধের কাজ শুরুর পূর্বে প্রোফাইল স্থাপন করে বলা হয়েছিল, এই স্থান হবে বাঁধের মাঝখান। এখান থেকে ১৪ ফিট টপ হবে এবং রিভার সাইডে ৩৩ ফুট ও কান্ট্রি সাইটে ২২ ফুট স্লোব করা হবে। পুরনো বেড়ী বাঁধের উচ্চতার চেয়ে ৩ ফুট-সাড়ে ৩ ফুট উচু করে বাঁধের কাজ করা হবে। কিন্তু পুর্বের নকশা পরিবর্তন না করা হলেও কাজের বেলায় নকশা মানা হচ্ছেনা। ভাঙ্গন কবলিত মূল বাঁধের স্থান যেটি খুবই ভয়াবহ ও ভুঁকিপূর্ণ স্থান। এখান দিয়ে পাউবে’র বাঁধ ওভার ফ্লো হয়ে পানি ভিতরে ঢোকার এক পর্যায়ে বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। সেখানেই পুরাতন বাঁধের তুলনায় মাত্র ১ ফুট উচু করে নির্মান কাজ করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ দেড় ফুট থেকে আড়াই ফুট পর্যন্ত উচু করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করেছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন সাংবাদিকদের জানান, পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী, এনডিই ও এসও তার সাথে কথা বলেছেন, এসময় তারা প্রথম প্রোফাইল দেওয়ার সময় সামান্য ভুল ছিল। ৩ থেকে সাড়ে ৩ ফুট উচ্চু করার কথা বলাও ভুল ছিল। এখন নতুন করে প্রোফাইল দেওয়া হয়েছে, ঠিক ভাবে কাজ করা হবে বলে তারা জানান। চেয়ারম্যান বলেন, আমি তাদেরকে জানিয়েছি, বাঁধটিকে টিকিয়ে রাখতে হলে পুরনো বাঁধের লেবেল এর চেয়ে ২/৩ ফুট উচু করে বাঁধ নির্মান করতে হবে। অন্যান্য সকল কাজ নকশা অনুযায়ী সঠিক ভাবে করাতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন খাঁন জানান, চেয়ারম্যান সাহেবের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত পূর্বন রিপোর্ট দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply