1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন
৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
Latest Posts
📰সাতক্ষীরা দেবহাটায় ছাত্রশিবিরের আন্ত:ওয়ার্ড ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত 📰আশাশুনির গাজীপুর মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এতিমের অর্থ আত্মসাৎ ও নিয়োগ বাণিজ্য রোধের আবেদন📰প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন📰আন্দোলনে সাধারণের পক্ষে দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতীক হয়েছে সেনাবাহিনী : ড. ইউনূস📰অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা, সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক ২📰উপকূলীয় জীবনের সুরক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বাগেরহাটে মানববন্ধন📰‘উপকূলীয় নারীদের সফলতা ও জ্ঞানের কথা’ শীর্ষক অভিজ্ঞতা সভা📰বর্ণাঢ্য আয়োজনে সপ্তাহ ব্যাপি বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন📰আশাশুনির বুধহাটা ক্লাস্টারের দুরাবস্থাগ্রস্থ ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাণের ঝুঁকির মধ্যে চলছে ক্লাশ 📰আশাশুনিতে উপজেলা শুমারী  কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টায় হেফাজত

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল, ২০২১
  • ৬৯ সংবাদটি পড়া হয়েছে


ন্যাশনাল ডেস্ক: সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে কোণঠাসা হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতারা সমঝোতার চেষ্টা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে হেফাজতের পাঁচ শীর্ষ নেতা বৈঠক করেছেন। হেফাজতের পক্ষ থেকে বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা নূরুল ইসলাম জেহাদী। হেফাজতের নেতারা চাইছেন, আর কোনও নেতাকর্মীকে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার না করে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নূরুল ইসলাম জেহাদীর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হেফাজতের একজন মধ্যম সারির নেতা বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব নূরুল ইসলাম জেহাদীর নেতৃত্বে তিন জন সহকারী মহাসচিব ও একজন নায়েবে আমির ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তারা হেফাজতের নির্দোষ ব্যক্তিদের মুক্তি, বয়স্কদের হয়রানি না করা, পুলিশের গুলিতে নিহতদের ক্ষতিপূরণ, কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়াসহ কয়েকটি দাবি জানান।

হেফাজতের ওই নেতা বলেন, সরকার হেফাজতকে বিরোধী দল মনে করে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু হেফাজত একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। যেভাবে হেফাজতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তাতে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হতে পারে। এছাড়া হেফাজতের অরাজনৈতিক আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে গিয়ে পরিস্থিতি খারাপ করার চেষ্টা করছে। সরকারকে আমরা এই বার্তাটিই দিতে চেয়েছি।’
এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্রও বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও নাম প্রকাশ করে কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি। কারণ হিসেবে একজন ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। একদিকে গ্রেফতার অভিযান, আরেকদিকে এজাহারভুক্ত আসামিদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সরাসরি বক্তব্য দেয়াটা সমীচীন হবে না বলে মন্তব্য করেন ওই কর্মকর্তা।
যোগাযোগ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘তাদের সমঝোতার প্রস্তাবের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাদের কাছে কেউ এ ধরনের প্রস্তাব নিয়েও আসেনি। হেফাজতে ইসলামের মধ্যে যারা সহিংসতার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যেভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে, তা অব্যাহত থাকবে। আইন ভঙ্গকারীদের সঙ্গে সমঝোতার কোনও প্রশ্নই আসে না।’
২০১০ সালে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত হেফাজতে ইসলাম প্রথম আলোচনায় আসে ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতি ও নারী উন্নয়ন নীতির বিরোধিতা করে। ২০১৩ সালে হেফাজত ব্লগারদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পাশাপাশি ১৩ দফা দাবি জানায়। ওই বছরের ৫ মে শাপলা চত্বরে সমাবেশের নামে ব্যাপক তা-ব চালায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এরপর ধীরে ধীরে হেফাজতে ইসলামের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে সরকার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হেফাজতের আমির আহমদ শফীর মৃত্যুর পর সংগঠনটির ওপর সরকারের যে নিয়ন্ত্রণ ছিল তা নষ্ট হয়ে যায়। হেফাজতের নতুন আমির জুনায়েদ বাবুনগরীসহ শীর্ষ নেতারা কথায় কথায় সরকারের বিরোধিতা করতে থাকে। গত বছরের নভেম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে বিরোধিতা করার পর এই বিষয়টি সামনে আসে। এরপর এ বছরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ৫০ বছর ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরোধিতা করে আন্দোলনের নামে তা-ব চালায় হেফাজতে ইসলাম। তখনও হেফাজতের শীর্ষ নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ না করেই একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। তবে ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে হেফাজতের প্রভাবশালী নেতা মাওলানা মামুনুল হক এক নারী সঙ্গীসহ আটক হলে নড়েচড়ে বসে সরকার।
হেফাজতের একজন মধ্যম সারির নেতা এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘মামুনুল হকের বিষয়টিতে সরকার সুযোগ নিয়েছে। তার ব্যক্তিগত বিষয়টিকে সামনে এনে হেফাজতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা কখনোই সরকার উৎখাতের চেষ্টা করিনি। আমাদের সাংগঠনিক মতাদর্শ থেকে আমরা আন্দোলন করে আসছিলাম।’
ওই হেফাজত নেতার ভাষ্য, ‘এখন যেভাবে হেফাজতের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতারি অভিযান শুরু হয়েছে, তাতে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা না করে উপায় নেই। এ জন্য শীর্ষ নেতারা সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। হেফাজত আপাতত আর কোনও কর্মসূচি দেবে না—এই শর্তে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।’
কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, হেফাজতকে আর ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। তারা আগে তো অনেক তা-ব চালিয়েছেই, সম্প্রতি রাজধানী ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে যা করেছে তাতে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। সহিংসতার ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাতেই হেফাজতের মধ্যম ও শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সর্বশেষ রবিবার (১৮ এপ্রিল) মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় হেফাজতের প্রভাবশালী নেতা মাওলানা মামুনুল হককে। সোমবার তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিবসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, ইতোমধ্যে তারা হেফাজতের ৩০ জন সক্রিয় নেতার একটি তালিকা তৈরি করেছেন। এরমধ্যে কয়েকজনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গোয়েন্দা নজরদারি করা হচ্ছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd