পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের রাজধানী নিয়ামির একটি নার্সারি স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের পর শ্রেণিকক্ষে আটকাপড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ শিশু অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। বুধবার (১৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে বিবিসি সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেলে এ দুঘটনা ঘটে। তখন শ্রেণিকক্ষে এসব শিশু শিক্ষার্থী পাঠ নিচ্ছিল। খড়ের তৈরি ওই শ্রেণিকক্ষে হঠাৎ আগুন লাগলে তারা আটকা পড়ে। আগুনে স্কুলের মূল ফটক বন্ধ হয়ে গেলে অনেকে সেখান থেকে বের হতে না পেরে অবশেষ পুড়ে মারা যায়।
নাইজারের রাজধানী নিয়ামের পেস বাস জেলায় অবস্থিত সরকার পরিচালিত ওই জুনিয়র-নার্সারি স্কুলটি ইট আর খড়ের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে। ফলে সেখানে আগুন লাগার কারণে দ্রুত সেই আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়লে আগুনে পুড়ে এতগুলো শিশু প্রাণ হারায়।
নাইজারের শিক্ষক ইউনিয়নের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘স্কুলটি জনপ্রিয় পেইজ বাস এলাকার পাশেই। সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে বেশিরভাগ বিত্তহীন। স্কুলটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৮০০ জন। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে স্কুলটিতে আগুন লাগে।’
বিবিসির নাইজার প্রতিনিধি হাউসা টিশিমা ইসোসোফু বলেন, আগুন ২০ নিষ্পাপ শিশুর প্রাণহানি ছাড়াও খড়ের তৈরি ২৮টি শ্রেণিকক্ষ সম্পূর্ণ পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। স্কুলের স্থায়ী শ্রেণিকক্ষের ৩০ শতাংশ আগুনে পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্কুলের ওই অগ্নিকাণ্ডে নিজের ছয় বছর বয়সী সন্তান হারানো এক পিতা দেশটির সরকারকে শিশুদের জন্য নিরাপদ স্কুলনির্মাণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী উহোমৌদৌ মাহামাদু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হতাহত শিশুদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ১৮৯টি দেশের মানব উন্নয়ন সূচকে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র দেশ।
Leave a Reply