নিজস্ব প্রতিনিধি:
তুচ্ছ প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ফুলতলায় হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় সাতজন নারীপুরুষ আহত হয়ে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হুদা জানান, স্থানীয় একটি হিন্দু মেয়ের সাথে আরেক পাড়ার তুচ্ছ প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা জানার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থল স্থল পরিদর্শন করে। ঘটনাটি যারা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে এএসপি (কালিগঞ্জ সার্কেল) এস এম মোহাইমিনুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্যানেল মেয়র ডালিম কুমার ঘরামী জানান, স্থানীয় এক কিশোরীর সাথে প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জ গ্যারেজ ও ঈশ্বরীপুরের একদল দূবৃত্ত ফুলতলা গ্রামের সুভাষ বাউলিয়া ও নগেন্দ্রনাথের বাড়ি ভেঙেচুরে তছনছ করে দেয়। মঙ্গলবার রাত পৌনে আটটার দিকে রড ও লাঠিসোঠা নিয়ে শতাধিক হামলাকারী অতর্কিতে হামলা চালায়। স্থানীয়রা বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলেও বৃষ্টির মতো নিক্ষিপ্ত ইটপাটকেলে কাছে কার্যত এলাকার মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে। এই হামলায় আহত নগেন্দ্র বাউলিয়া (৬০), সুভাষ বাউলিয়া (৪২), গোবিন্দ বাউলিয়া (৪০), যতীন বাউলিয়া (৩৮), মিলন বাউলিয়া (২০), নিত্যানন্দ (১৮), মমতা বাউলিয়া (২৫) ও তপন বাউলিয়া (৪৮) কে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
যতীন বাউলিয়া বলেন, স্থানীয় মেয়েদের সাথে বখাটে পল্লব ও আলীমদের ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেয়ায় পল্লব, আকবর মেম্বর, আলীম গাজী, আলীম মোড়ল, রবিউল, কুদ্দুস, আলম গাজী, আয়জুল, খোকন, মিলন, ইয়াকুব, সুজন, সাইদুলের নেতৃত্বে শতাধিক বিভিন্ন বয়সী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে শীতলা মন্দির ও রাসমনি মন্দির এবং সুভাষ ও নগেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন, ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদুজ্জামান সাঈদ, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল, মানবাধিকার কর্মী মোহন কুমার মন্ডল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের স্বান্তনা প্রদান করেন।
Leave a Reply