1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৮ অপরাহ্ন
৭ পৌষ, ১৪৩১
Latest Posts
📰বছরের দীর্ঘতম রাত আজ📰গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন📰সাতক্ষীরা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত 📰সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ‘অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা’ অনুষ্ঠিত📰জেলা প্রশাসক কর্তৃক সাংবাদিক উজ্জলের সাথে অশোভন আচরনে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ📰আশাশুনির খাজরায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কে নিয়ে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখার অভিযোগ📰আশাশুনিতে সুন্দরবন রক্ষায় শিক্ষন ও অভিজ্ঞতা বিষয়ক বিনিময় সভা📰মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন📰সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং ডিসি কর্তৃক গালাগাল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন📰আশাশুনিতে শিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিষয়ক বিনিময় সভা

বেনাপোল বন্দরে করোনা সংক্রমণ ঝুকিতে ২০ হাজার কর্মজিবী মানুষ

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৫৪ সংবাদটি পড়া হয়েছে

আঃজলিলঃ(শার্শা যশোর)

করোনা সংক্রমণ রোধে বেনাপোল স্থলবন্দরে দুই দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক চালকদের মধ্যে নেই তেমন কোন স্বাস্থ্য সচেতনতা। ফলে করোনা সংক্রমন ঝুকির মধ্যে পড়েছে বাণিজ্যের সাথে জড়িত সরকারী,বেসরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী পণ্য খালাসের সাথে জড়িত শ্রমিক,চালকসহ প্রায় ২০ হাজার কর্মজিবী মানুষ।

স্থানীয়রা বলছেন, যেহেতু ভারতের বিভিন্ন প্রবেশ থেকে এসব ট্রাক চালকেরা বন্দরে আসছে তাই সংক্রমন প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকর করা খুব জুরুরী। আর বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে আলোচনা করে খুব দ্রুত সব ধরনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।

বন্দর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ভারত অংশে প্রতিরোধ ব্যবস্থা সচল থাকলেও বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশ অংশে পণ্য প্রবেশ দ্বারে ট্রাকে জিবানু নাশক স্প্রে ও চালকদের স্বাস্থ পরীক্ষা কার্যক্রম। কারো মধ্যে কোন সামাজিক দূরত্ব নেই। 

বন্দর কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় অবাধে মাস্ক-পিপি ছাড়া চলাফেরা করছেন ভারত ও বাংলাদেশি ট্রাক চালকেরা। মিশ্বেছেন স্থানীয়দের সাথে। তবে কারো কাছে মাস্ক বা পিপি থাকলেও তা ঠিক মত ব্যবহার করছেন না। কারো শরীরে মাস্ক থাকলেও তা ঝুলছে গলায়। আবার কারো কাছে পিপি থাকলে তা রয়েছে গাড়িতে তোলা। এমনটি বন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরাও অনেকে দায়িত্ব পালন করছেন মাস্ক ছাড়া। এতে করোনা সংক্রমণ ঝুকির মধ্যে পড়েছে।

জানা যায়, দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ায় প্রতিরোধ ব্যবস্থায় সরকার সাত দিনের টানা লকডাউন ঘোষণা করেছেন। তবে এ লকডাউনের মধ্যে দেশের শিল্প কলকারখানা গুলোতে উৎপাদন ও সহবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখতে বিশেষ ব্যবস্থায় বেনাপোল বন্দর লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। এতে স্বাভাবিক ভাবে রেল ও স্থল পথে বেনাপোল-পেট্রাপোল দুই দেশের মধ্যে চলছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। বন্দরে বাণিজ্য সম্প্রদনায় কাজ করছেন বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীও শ্রমিকসহ প্রায় ২০ হাজার কর্মজিবী মানুষ। তবে এবন্দরটিতে স্বাস্থ্য বিধির বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় করোনা সংক্রমণ ঝুকি বেড়েই চলেছে।

আমদানি ও রফতানি পণ্য বহনকারী ভারত ও বাংলাদেশি ট্রাক চালকেরা জানান, বেনাপোল বন্দরে এখন আর কেউ ট্রাকে জীবানু নাশক স্প্রে করা করে না। স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হয় না। তবে সুরক্ষার জন্য ট্রাক চালকদের মাস্ক,পিপি পরা উচিত। কিন্তু কেউ কিছু বলে না বলে পরা হয় না।

বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলুর রহমান বলেন, বন্দরে কোন স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না। ইতিমধ্যে এ অঞ্চলের অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছে। জরুরী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

বেনাপোল বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটালী ওহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি ও রফতানি পণ্য পরিবহনের কাজে প্রায় দেড় হাজার ট্রাক চালক দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। শ্রমকিরা এসব পণ্য খালাস করছে। বন্দরে করোনা প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় দুই হাজার অসহায় শ্রমিকরা পড়েছে ঝুকির মধ্যে।

বেনাপোল রেলওয়ে মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, আগে করোনা সংক্রমণ রোধে রেলষ্টেশনে বন্দরের পক্ষে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা কাজ করতেন। এখন আর কেউ আসে না। তবে নিরাপত্তার জন্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা সচল রাখা জরুরী।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, যেহেতু ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে ট্রাক চালকেরা বেনাপোল বন্দরে আসছে। বাংলাদেশ থেকে ও চালকেরা যাচ্ছে ভারতে । এদের মাধ্যমে সহজে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা বেশি। তাই বন্দরে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, আগে প্রতিরোধ ব্যবস্থা সব ছিল। জনবল সংকটে এখন কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে আলোচনা করে বন্দরে করোনা সংক্রমন প্রতিরোধের সব ব্যবস্থা খুব দ্রুত কার্যকর করা হবে।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা বলছেন, বর্তমানে করোনা সংক্রমনের ভয়বহতার এ সময়ে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বন্দরে যাতে সব ধরনের স্বাস্থ্য বিধি মানা হয় তার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd