নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে থাকা যোগ্যদের বাদ দিয়ে সাতক্ষীরা জেলা যুবদলের ৯টি ইউনিটের নতুন কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পদ বঞ্চিতরা। গত ১৮ মার্চ রাতে কেন্দ্রীয় যুবদল কর্তৃক এই কমিটি অনুমোদনের পর বিক্ষুব্ধ এবং চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
শহর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক উজ¦ল কুমার সাধুসহ পদবঞ্চিত অনেকেই জানান, যুবদলের কমিটিতে চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ীদের স্থান দেয়া হয়েছে। যারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন তাদের কোন পদে রাখা হয়নি।
এছাড়া
একইভাবে
পৌর যুবদেলর আহবায়ক যাকে করা হয়েছে তিনি ঝিনাইদহে ৮’শ বোতল ফেন্সিডিলসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন। সে মামলা চলমান রয়েছে।
আর যাকে পৌর যুবদলের সদস্য সচিব করা হয়েছে তিনি বিগত দিনে কোন আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেননা। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে খুলনা বিভাগীয় টীমের সুপারিশও আমলে নেয়া হয়নি। জেলা বিএনপি ও উপজেলা বিএনপিকে অন্ধকারে রেখে এই কমিটি করা হয়েছে। বিতর্কিত কমিটি অনুমোদনের পর অনেকেই দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অনুমোদিত এই কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা। অন্যথায় তৃনমূল নেতাকর্মীরা রাজপথে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন বলে জানান তারা। তারা জানান, আর্থিক সুবিধা নিয়ে জেলা যুবদলের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই নতুন কমিটি দিয়েছেন।
তারা আরো জানান, নতুন এই কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে আশাশুনি উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেদুজ্জামান টিপুকে। তিনি রাজপথে থেকে অসংখ্য মামলার আসামী হয়েছেন। আহবায়ক করা হয়েছে টোকনকে যিনি কোনদিন ছাত্রদল করেননি। একইভাবে সোহাগকে সদস্য সচিব করা হয়েছে যিনি নৌকার পক্ষে প্রকাশ্য কাজ করেছিলেন। সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ তরিকুল বাশারকে বাদ দেয়া হয়েছে। আশাশুনি থানায় তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। দেবহাটায় উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিবকে সদস্য সচিব থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। শ্যামনগরে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুলকে বঞ্চিত করে দীর্ঘদিন প্রবাসে অবস্থান করা আঙ্গুরকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের দুইবারের সভাপতি রবিউল্লাহ বাহারকে বাদ দেয়া হয়েছে। একইভাবে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জান মনিকে কমিটিতেই রাখা হয়নি। আহবায়ক প্রার্থী এস এম বাবুকেও বঞ্চিত করা হয়। কলারোয়া উপজেলা যুবদলের কমিটিতে মেহেদী হাসান রাজুকে দু’টি পদ দেয়া হয়েছে। তাকে যুগ্ম আহবায়ক এবং সদস্য করা হয়েছে। কলারোয়া পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে গণজাগরণ মঞ্চের মূত্রপত্র ইমরান এইচ সরকারের ঘনিষ্ঠজন মোস্তাককে। তালা উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠনেও আর্থিক লেনদেন অভিযোগ করেছেন তারা।
তারা এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যুবদলের কমিটি গঠনে তারেক রহমানের নির্দেশনা অমান্য করা হয়েছে।
জেলা যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক আইনুল ইসলাম নান্টা একই সুরে জানান, যুবদলের কমিটিতে চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ীদের স্থান দেয়া হয়েছে। যারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম ছিলেন তাদের কোন পদে রাখা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা যুবদলের সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলুর নাম্বারে ফোন দিলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply