আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ


মশাল ডেস্ক: আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের এ দিনে বঙ্গবন্ধু ১০ লক্ষাধীক মানুষের সমাবেশে বাঙালী জাতির ইতিহাসে শ্রেষ্ট অলিখিত কবিতাটি আবৃত্তি করেন। কবিতার প্রত্যেকটি পরতে পরতে াছল জাতীয় হাজার বছরের যন্ত্রনার ইতিহাস। ছিল পাক শাসকদের বেইমানী আর বাঙালীর বঞ্চনা চিত্র। আর ছিল গত ৬ দিনের শ^াসরুদ্ধকর বাঙ্গালীর স্বাধীনতার জন্য রক্ত ঝরার বর্ণনা। সবশেষে ছিল বাঙ্গালীর জীবনের নূতন ইতিহাস তৈরীর রক্ত দিয়ে লেখা সেরা উচ্চারন – ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ উপস্থিত জনতার মধ্যে সাগরের ঢেউ এর মত তরাঙ্গিত উৎমাদন। হাতে লাঠি আর বাশের ঠোকরের সাথে মিলে সহ¯্র কন্ঠে উচ্চারিত হলো ‘জয় বাংলা’। বীর বাঙালী অস্ত্র ধর বাংলাদেশকে স্বাধীন করো।
এক মার্চ থেকে চলে আসা অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালীর চেতনার মধ্যে যে আকাংখাটি ঘুরছিল। সেই চেতনা যেন বঙ্গবন্ধুর কন্ঠ দিয়ে উচ্চারিত হলো। আর তাই সকল উপস্থিত জনতা উদ্দিপ্ত হলো। অজুত কন্ঠে উচ্চারিত হলো , তোমার নেতা আমার নেতা- শেখ মুজিব শেখ মুজিব। আগামী সময়ের পথ নির্দেশনা দিয়ে গেলেন বাঙালীর একক নেতা। ২৬ মার্চ ৭১ বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতা ঘোষনা করেন তার প্রথম স্তর হলো ৭ মার্চ। ৭ মার্চের ভাষনে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার জন্য প্রস্তুতির দিক নির্দেশনা। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবান দলিল হচ্ছে ৭ মার্চের ভাষন। সম্প্রতি ইউনেস্কো এই ভাষণকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ এর অংশ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই এই ভাষণ এখন আনুষ্ঠানিকভাবে পুরো মানব জাতির সম্পদ। একইসাথে এখন এই ভাষণ বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানের অংশও ।
৭ মার্চ আজ জাতীয় দিবস। সারাদেশে ঋৎযাপিত হবে ৭ মার্চ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *