1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ০৫:১৩ অপরাহ্ন
২১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
Latest Posts

আজ ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ দিবস

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বুধবার, ৩ মার্চ, ২০২১
  • ৫৩৮ সংবাদটি পড়া হয়েছে


মশাল প্রতিবেদক: আজ ঐতিহাসিক স্বাধীনতা ইশতেহার ঘোষনা দিবস। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ও উপস্থিতিতে সেখানে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে ঢাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো এবং সমগ্র বাংলাদেশে প্রথম দিনের জন্য সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়। হরতালের সময় শহরের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে যায়। পল্টন ময়দানের সমাবেশে ছাত্র নেতারা শপথ গ্রহণ করেন স্বাধীনতা সংগ্রামের।
এদিন স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে পল্টনে বিশাল জনসভা আয়োজন করা হয়। ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন। ইশতেহারে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানানো হয়। গাঢ় সবুজের জমিনের উপর লাল সূর্য এবং লাল সূযের উপর বাংলাদেশের সোনালি মানচিত্র সংবলিত জাতীয় পতাকা নির্দ্ধারন করা হয়। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ও সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি মৌলিক নীতি ও ৫৬,০০০ বর্গমাইলের এলাকা নিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির সীমানা নিদ্ধারিত করে স্বাধীন বাংলাদেশের ইশতেহারে উত্থাপন করা হয়।
ইশতেহারটি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে প্রচ- করতালির মাধ্যমে প্রস্তাব গৃহীত হলে ‘জয় বাংলা’ ‘তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব শেখ মুজিব’, ‘শেখ মুজিবের পথ ধরো বাংলাদেশ স্বাধীন করো’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পল্টন ময়দান ও পার্শ্ববর্তী এলাকা। উপস্থিত লাখ লাখ জনতা হাত তুলে এই ইশতেহার সমর্থন করেন।
অবস্থা বেগতিক দেখে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ঢাকায় পার্লামেন্টারি পার্টিগুলোর প্রতিনিধিদের বৈঠক ডাকেন । কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইয়াহিয়ার সেই বৈঠক ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করলেন। সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘জনতার ওপর গুলিবর্ষণের সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো আলোচনায় বসবেন না।’ নির্বিচারে সাধারণ মানুষ হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে প্রতিদিন ভোর ৬ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত হরতাল পালনের আহ্বান জানালেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৩ তারিখের জনসভা থেকে ৭ মার্চে রেসকোসের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ঐতিহাসিক জনসভার ঘোষনা দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু পাকস্তানী শাসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক নিয়মে প্রণীত এক শাসনতন্ত্র যদি না চান তাহলে আপনাদের শাসনতন্ত্র আপনারা রচনা করুন। বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র আমরাই রচনা করবো।’
উত্তাল মাচের ৩ তারিখ বাংলার মাটি শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয়। বাঙালি অবাঙালি সংঘর্ষে চট্টগ্রামে নিহত হন ১২০ জন। আহত হন ৩৩৫ জন। এদের বেশিরভাগই পাক সেনাদের গুলিতে ৭১ নিহত হন। বাঙালি নিধনের এই ঘটনায় সারাদেশ অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd