ডুমুরিয়ার মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জমিতে নিয়ম নীতি অমান্য করে নির্মিত পাকা ঘরটি উচ্চেদ পূর্বক অপসারণ আদেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ। গত মঙ্গলবার এ আদেশ দেন তিনি। স্থানীয়, অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিজেস্ব জমিতে নীতিমালা অমান্য করে এডহক কমিটির সভাপতি মাসুদ সরদারের নেতৃত্বে বিদ্যালয় চত্বরের পশ্চিম পাশে একটি আধাপাকা দোকান ঘর তৈরি করা হয়েছে। নির্মিত ঘর টি অবৈধ ভাবে ভাড়ায় প্রদান করা হয় বলে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ে সাড়ে ৩শ’ ছাত্র-ছাত্রী অধ্যায়ণ রত রয়েছে। এছাড়া একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে একই চত্ত্বরে। সবমিলিয়ে প্রায় ১ম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ৫শ’র অধিক ছাত্র-ছাত্রী অধ্যায়নরত রয়েছে। ফলে কোমল মতি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় চত্ত্বরে চলা-ফেরা নানা প্রতিবন্ধকতার আশংঙ্কা রয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের ১টি শ্রেণিকক্ষে গো-খাদ্য মজুদ করে রাখা হয়েছে। স্থানীয় সাংবাদকর্মীরা বুধবার দুপুরে সরজমিন গিয়ে এমন দৃশ্য দেখে ছবি ক্যামেরা বন্দি করেন । এমন ঘটনার প্রতিকার ও অপরিকল্পিত ভাবে রেজুলেশন ব্যাতিরেকে বে-আইনী ভাবে দোকান ঘর নির্মাণ বন্ধ ও উচ্ছেদের লক্ষ্যে সাবেক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আকবার হোসেন শেখ জেলা প্রশাসক খুলনা ও চেয়ারম্যান শিক্ষা বোর্ড যশোর বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে জেলা প্রশাসক খুলনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডুমুরিয়া কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেয়। সে প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার উক্ত নির্মিতব্য ঘরটি উচ্ছেদ পূর্বক অপসারণ করতে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকসহ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এ প্রসঙ্গে যশোর শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান ড.মোল্যা আমির হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের জমিতে কোন প্রকার বে-আইনী ভাব কোন স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। তাছাড়া এডহক কমিটির সভাপতির তো কোন ইকতিয়ার নাই।
Leave a Reply