শেখ আব্দুল মজিদ, চুকনগর, খুলনা :
ডুমুরিয়ার লোকালয়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে মিনি ইট ভাটা। দেদারসে পুড়ছে কাঠ, আর কালো ধোঁয়ায় দূষণ হচ্ছে পরিবেশ। যেন বিষয়টি দেখার কেউ নেই! স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার ধামালিয়া ইউনিয়নের চেঁচুড়ি বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং চেঁচুড়ি বিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় দু’টি স্কুল ঘেষে পাড়া-মহল্লার ভিতরে গড়ে উঠেছে এ সকল অবৈধ ইটভাটা। অধিক মুনফা লাভের আশায়, দীর্ঘদিন যাবৎ ভাটার মালিক তারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কোন দপ্তরের অনুমতি ছাড়াই নিময়-নীতি উপেক্ষা করে চালিয়ে যাচ্ছেন, ওই সকল ভাটায় ইট তৈরি ও পোড়ানোর কাজ। কয়লা ব্যতিরেকে পোড়ানো হচ্ছে নারকেল ও খেজুর গাছের কাঠের গুড়ে। এর ফলে কাঠের কালো ধোঁয়ায় পরিবেশের মারাত্বক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। অপরদিকে ফলদ ও বনজ গাছ কেটে সাবাড় করার কারণে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রয়েছে চরম হুমকির মুখে। অন্য দিকে উজাড় করা হচ্ছে বনজ সম্পদ। ফলে মৌসুমী নারকেল ও খেজুর রসের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। সরজমিনে দেখা গেছে চেঁচুড়ি গ্রামের একটি মহাল্লার মধ্যে দুটি স্কুল ঘেষে অন্তত ২০ টির অধিক ইট ভাটা গড়ে উঠেছে। চেঁচুড়ি বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চেঁচুড়ি বিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশ ঘেষে মাত্র ২শ’ গজের ভিতরে গড়ে উঠেছে ইট ভাটা গুলো। এছাড়া অতিরিক্ত লোডবাহি কাঠ ও ইট বহনের ফলে গ্রাম্য রাস্তার ধসে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে এমন অভিযোগ করেন, দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ স্থানীয়রা। আবার কাঠ পোড়ানোর কালো ধোঁয়ায় কোমল মতি শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। জানা গেছে, অসিম পাল, মোহন পাল, বাসুদেব পাল, মহাদেব পাল, সন্তোষ পাল, পঙ্কজ পাল, নকুল পাল, মিলন পাল, শুভাংকর পাল, ললিত পাল, সুবোল পাল, ভোলা পাল, অসীম পাল, শেখর পাল, লক্ষণ পাল, অমল পাল, ভাস্কর পাল, পরেশ পাল, সাধন পাল, বিষ্ণু পাল, যশোধর পাল, গৌতম পালসহ ২০ টির অধিক ভাটা রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে ভাটা মালিক অসিম পালসহ একাধিক মালিক এ প্রতিবেদকে জানান, সরকারি কোন দপ্তরের অনুমতি ছাড়ায় স্থানীয় মন্টু পালকে ম্যানেজ করে তারা ভাটার সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। কোন সমস্যা দেখা তিনি দেখভাল করে থাকেন। এ প্রসংগে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, নিয়ম নীতি অমান্য করে অবৈধ ভাবে পরিচালিত সকল ইটভাটার বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply