আশাশুনি প্রতিনিধি: বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের আরার গ্রামের দূরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত গৃহবধূ নাছিমা খাতুনকে তার বাড়িতে শীতবস্ত্র ও ত্রাণসামগ্রী নিয়ে দেখতে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা । বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে আরার গ্রামের মৃত মুনছুর আলী মালীর ছেলে দিনমুজুর রবিউল ইসলামের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী নাছিমা খাতুন (৩৫) কে দেখতে তিনি তাদের বাড়িতে গমন করেন। গমনকরে তিনি নাছিমা ও তার স্বামী রবিউল এর সাথে কথা বলেন এবং তার সয্যাপাশে গিয়ে অসুস্থতার বিষয়ে সার্বিক খোঁজখবর নেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসার জন্য নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন এবং নাছিমার চিকিৎসার জন্য সার্বিক সাহায্য করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়াও ইউএনও মীর আলিফ রেজা গৃহবধূ নাছিমার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। এসময় প্রকৌশলী মামুনুর রশীদ, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সদস্য সোহরাব হোসেন ও এম এম নুর আলম, রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রচার সম্পাদক বিএম আলাউদ্দীনসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর নাছিমার চিকিৎসার জন্য আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ গোলাম কবির, বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু ঢাকায় তার চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রচুর অর্থ প্রয়োজন যা তার দিনমুজুর স্বামী রবিউলের পক্ষে যোগানো সম্ভব নয়। তাই তার চিকিৎসার জন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা বা নগদ সাহায্যের হাত বাড়াতে চাইলে তার স্বামীর মোবাইল নম্বার ০১৭৪৯-০৯০৫৪৬ (বিকাশ) এ যোগাযোগ করার জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, নাছিমা খাতুনের গত কয়েক মাস আগে চুয়াডাঙ্গায় ইটভাটায় থাকা অবস্থায় গলার দুইপাশে টিউমার আকৃতির সৃষ্টি হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে চুয়াডাঙ্গার একটি হাসপাতালে ডাক্তার দেখালে রিপোর্টে ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর থেকে সে দূরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা ও খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন।
Leave a Reply