1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৪০ অপরাহ্ন
১৮ শ্রাবণ, ১৪৩২
Latest Posts
📰বিশ্বকাপে ব্রাজিলীয় সমর্থকদের জন্য রেস্ট্রিকশন📰নিষিদ্ধ লীগ নেতা-কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে মেজর📰ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার আশঙ্কা, সতর্কতা জারি করলো বাংলাদেশ ব্যাংক📰মিয়ানমারে ডিসেম্বরে নির্বাচন, সেনাপ্রধানের নেতৃত্বেই অন্তর্বর্তী সরকার📰১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ📰রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯২ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা কম📰আসনের সীমানা পরিবর্তনে বৈষম্যের শিকার আশাশুনি-শ্যামনগরের মানুষ📰সাতক্ষীরায় ৩৯জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সম্মাননা প্রদান📰কোস্ট গার্ডের অভিযানের সুন্দরবন থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার📰নির্বাচন ফেব্রুয়ারির একদিন পরেও যাবে না: প্রেস সচিব

আশাশুনিতে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্যকারীর দৌড়ঝাঁপ

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
  • ৩৬০ সংবাদটি পড়া হয়েছে

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার কুঁন্দুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কমিটি গঠন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলাকালীন মিটিং না ডাকায় শিক্ষা অফিসার কর্তৃক হুমকী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অশালীন ও চরম অপমানজনক মন্তব্যের অভিযোগের খবর প্রকাশের পর অভিযুক্ত কর্মকর্তা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেতে শহীদ দিবসের দিনেই কমিটির মিটিং ডাকতে বাধ্য করে আবারও সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। আদালতে দায়েরকৃত মামলা (মিস আপীল ০৫/২১) ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনে অভিভাবক সদস্য নির্বাচনে ৫ জন প্রার্থী আবেদন পত্র জমা দেন এবং ১জন প্রত্যাহার করায় ৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। কিন্তু পরবর্তীতে ১০/১১/২০ তাং আবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে আশাশুনি সহকারী জজ আদালতে ৮/১১/২০ তাং দেং ১১৪ নং মামলা রুজু করা হয়। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ১৯/০১/২০ তাং দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিতদের নিয়ে গঠিত কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। বিধান চন্দ্র মন্ডল বিক্ষুব্ধ হয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মিস আপীল ০৫/২১ নং মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত ১৯/১ তাং শুনানী শেষে মামলা গ্রহণপূর্বক নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘন্টার মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য বিবাদীদেরকে শোকজ করেন। মামলা চলমান। ফলে দ্বিতীয় দফায় গঠিত বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি বৈধ কিনা, একমিটি নিয়ে মিটিং করা সমীচিন কিনা, পূর্বে নির্বাচিতরা মূল্যায়িত হবেন কিনা, দু’টি তফশীলে নির্বাচিত দু’দল অভিভাবক সদস্যদের কাকে কতটুকু মূল্যায়ন করবেন? এমন অসংখ্য প্রশ্ন মাথায় নিয়ে স্কুলের অভিভাবকরাও যেমনি দ্বিধাগ্রস্ত, প্রধান শিক্ষকও কিংকর্তব্যবিমুঢ়। আদালতে মামলা চলমান থাকায় প্রধান শিক্ষক আদালতের সিদ্ধান্ত ব্যতীত কিভাবে কাজ করবেন। অভিযোগে জানাগেছে, এমতাবস্থায় দ্বিতীয় দফার অভিভাবক সদস্য নিয়ে গঠিত কমিটির সহ-সভাপতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক প্রতিনিধি সুস্মিতা পদত্যাগ করেছেন। এরপর থেকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষা অফিসার আবু সেলিম অধস্তন কর্মচারী হিসাবে প্রধান শিক্ষককে নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ ও মিটিং করিয়ে নিতে মানসিক ভাবে বিব্রত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ ফেব্রুয়ারি সরস্বতি পুজার ছুটির দিনে তারা মোবাইলে ১৭ তারিখে দুপুর ১২ টায় মিটিং ডাকতে নানা কথা বলার পর কঠোর অর্ডার করেন। প্রধান শিক্ষক মামলা ও একজনের পদত্যাগ ও খাতা স্কুলে থাকায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে কি করে মিটিং করবেন, অনুনয়ের সাথে জানতে চাইলে তারা সাদা কাগজে ও মোবাইলের মাধ্যমে মিটিং ডাকতে ও উপজেলায় যেতে অর্ডার করেন। বিষয়টি নিয়ে অধিকতর জানতে ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা নিতে প্রধান শিক্ষক ডিপিইও অফিসে যান এবং উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তোরনের জন্য মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এডহক কমিটি গঠনের আবেদন করেন। একথা জানতে পেরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী শিক্ষা অফিসার তাকে জোর তলব করেন। তিনি টিকা নিয়ে জ্বরে ভুগছেন জানালেও তাচ্ছিল্যভরে সেখানে যেতে বাধ্য করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে আবেদনের কথা বললে তার উপর নানাভাবে হুমকী ও অপমানকর কথা বলা হয়। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আপনি আমার সাথে এভাবে কথা বলছেন কেন? বলার সাথে সাথে “রাখেন মুক্তিযোদ্ধা, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার কথা বাদ দেন। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে অমন মুক্তিযোদ্ধা পাওয়া যায়” বলে আস্ফালন করে উঠেন। এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মুক্তিযোদ্ধার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। উপজেলার শিক্ষক সমাজ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ এঘটনায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। প্রধান শিক্ষক ত্রিমুখী চাপে বিপর্যস্ত হয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবসে শোকের দিনে কমিটির চাপে পড়ে মিটিং করতে বাধ্য হন। এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলামের কাছে সাংবাদিকদের পক্ষ হতে জানতে চাইলে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলেননি বলে জানান। তাছাড়া মিটিং ডাকতে চাপ প্রয়োগ করেননি বলে দাবী করেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, মহান ভাষা দিবসে শহীদ দিবসের আলোচনাই প্রাধান্যযোগ্য। এদিন অন্য কোন সভা ও আলোচনা গ্রহণযোগ্য নয়।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd