আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির বুধহাটায় জমি কেন্দ্রিক বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় প্রভাষক ফিরোজ আলমসহ ৪ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। এ ঘটনায় আহতর বড় ভাই ফারুক আহম্মেদ থানায় লিখিত এজাহার সূত্রে ও মৌখিকভাবে জানান, তিনি স্বামী-স্ত্রী উভয়ই চাকুরী সূত্রে উপজেলার বুধহাটা বাজার সংলগ্ন এক খন্ড জমি ক্রয় করে বসতঘর বেধে দীর্ঘদিন স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন। ওই জমি লাগোয়া জমি ক্রয় করে ভোগ দখলে আছেন বুধহাটা গ্রামের মৃত. মাধব আঢ্যর পুত্র তুলসী কুমার আঢ্য। জমির সিমানা নির্ধারণ কেন্দ্রি উভয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে শালিসে মিমাংশা না হওয়ায় সর্বশেষ উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক শালিসের মাধ্যমে মাপ জরিপঅন্তে সিমানা নির্ধারণ করে দেন। সে মোতাবেক ব্যাংকার ফারুক আহম্মেদ বৃহস্পতিবার বাড়ীর সিমানার ঘেরা বেড়া সংস্কার করছিলেন। এ সময় তুলসি আঢ্য, তার পুত্র হিরণ কুমার আঢ্য ও অপর পুত্র কিরণ আঢ্য দা, শাবল ও লাঠি সোটা নিয়ে তাদের পক্ষীয় আরও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে সাথে নিয়ে ফারুক আহম্মেদের বাড়ী ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ ও হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এসময় ফারুকসহ অপর সহোদর আশাশুনি সরকারি কলেজের প্রভাষক ফিরোজ আলম ও সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিজিপি সদস্য ফাইজুল মৌখিকভাবে প্রতিবাদ বা চুপ থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে তুলসি আঢ্য, তার দু’পুত্র হিরণ আঢ্য ও কিরণ আঢ্যসহ ৭/৮ জন আচকা চড়াও হয়ে হামলা চালিয়ে প্রথমে ফিরোজ আলমের রক্তাক্ত জখম করে। ঠেকাতে গেলে ফারুক, স্ত্রী শিক্ষিকা সাবিনা ইসলাম ও সহোদর ফাইজুলকেও মারপিট করে আহত কওে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে ফিরোজ আলমকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফারুক, সাবিনা ও ফাইজুল প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ী ফিরে গেছে। এ ব্যাপারে ফারুক আহম্মেদ বাদী হয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের নাম উল্লেখপূর্বক এবং ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত রেখে আশাশুনি থানায় এজাহার দাখিল করেছেন। অপরদিকে, তুলসি আঢ্যও একটি পাল্টা এজাহার দাখিল করেছেন বলে জানগেছে।
সাংবাদিক বিএম আলাউদ্দীনকে জীবননাশের হুমকি
নিজস্ব প্রতিনিধি: পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও নিউজ সংক্রান্ত ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করায় আশাশুনিতে সাংবাদিক বিএম আলাউদ্দীনকে জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ০৬.৩৪ মিনিটে ০১৭১৭৭৭১৪৫৯ নাম্বার থেকে ধান্যহাটি গ্রামের আব্দুর রশিদ সরকারের ছেলে ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম এ জীবননাশের হুমকি ও গালিগালাজ করেন। সাপ্তাহিক জনতার মিছিল, সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দক্ষিণের মশাল ও যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্পন্দন পত্রিকার আশাশুনি প্রতিনিধি এবং আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রচার সম্পাদক বি এম আলাউদ্দীনকে একটি ফেসবুকে স্ট্যাটাসের কমেন্ট এর সত্যতা প্রকাশ করায় তাকে এ হুমকি প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালের ৮ ই ডিসেম্বর শনিবার সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকায় “আশাশুনিতে সুদের চক্রবৃদ্ধির চক্রে নিঃস্ব হয়েছে কয়েকটি সংখ্যালঘু পরিবার” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখান থেকেই সাংবাদিক বিএম আলাউদ্দিনসহ অসহায় পরিবার গুলোর পাশে দাঁড়ানো সাংবাদিকদের ওপর বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসে সুদে কারবারী পরিবারের সদস্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার সাংবাদিক বিএম আলাউদ্দিনের মোবাইল ফোনে কল করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও জীবননাশের হুমকি দেয় আলোচিত রশিদ সরকারের স্ত্রী নাজমা বেগম ও তার পুত্র। সংবাদিক বিএম আলাউদ্দীনের জীবনের নিরাপত্তা ও অসহায় পরিবার গুলোকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন
Leave a Reply