ডেস্ক: ভার্চুায়াল মাধ্যমে স্কুল-কলেজে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে উদযাপনের নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
মাউশির উপ-পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো. রুহুল মমিন সই করা এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দিবসটি উপলক্ষে মাউশির অধিনে সব অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে এটি উদযাপন করতে হবে।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনলাইনে আলোচনা সভা ও সেমিনারের আয়োজন করার অনুরোধ করা হয়েছে নির্দেশনায়। নির্দেশনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও কলেজ গভর্নিং কমিটির উপস্থিতিতে অনলাইনে এ অনুষ্ঠান পালন করতে বলা হয়েছে।
বিশেষ মঞ্জুরীর টাকা পেতে আবেদন ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে: মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মাঝে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেটের বিশেষ মঞ্জুরী টাকা বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের এ টাকা পেতে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে হবে। সরাসরি বা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর আবেদন করতে হবে। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
২০২০-২০২১ অর্থবছরের মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মাঝে বিশেষ মঞ্জুরী টাকা বিতরণে ইতোমধ্যে নীতিমালা জারি করা হয়েছে। এ নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক শিক্ষার্থীরা বিশেষ মঞ্জুরীর টাকা পেতে আবেদন করতে হবে।
সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা, দৈব দুর্ঘটনা এবং চিকিৎসার খরচের জন্য বিশেষ মঞ্জুরীর অনুদান প্রাপ্তির আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী, অসহায়, অস্বচ্ছল ও মেধাবী, অনাগ্রসর সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা অগ্রধিকার পাবেন।
এছাড়া দেশের সব স্বীকৃতি প্রাপ্ত বা এমপিওভুক্ত বেসরকারি কারিগরি ও মদ্ররাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেরামত ও সংস্কার, আসবাব পত্র তৈরি, খেলাধুলার সরঞ্জাম ক্রয়, পাঠাগার উন্নয়ন ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী বান্ধব করার জন্য বিশেষ মঞ্জুরীর আবেদন করা যাবে। তবে বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনাগ্রসর এলাকার অস্বচ্ছল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অগ্রাধিকার পাবে।
জেলা যাচাই-বাছাই কমিটির সুপারিশকৃত আবেদন এবং সরাসরি পাওয়া আবেদনগুলো যাচাইবাছাই করে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের এ সংক্রান্ত কমিটি চুড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন করবে।
Leave a Reply