কলারোয়া সংবাদদাতা: কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে প্রকাশ, ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে রায়টা শ্মাশনে মাটি ভরাট প্রকল্পে ৩৭ হাজার একশত টাকা, পানিকাউরিয়া মোসলেমের পুত্র আনিসসহ দুইজনের নামে দুই লক্ষ টাকার সোলার প্রকল্প, মানব সম্পদ উন্নয়নে তথ্য সেবা কেন্দ্রের ল্যাপটপ, চেয়ার টেবিলও প্রিন্টার ক্রয় ৮১ হাজার ৭৫৭ টাকা, চিতলা মশিয়ারের জমি থেকে বারবুই পাড়া অভিমুখে মাটির রাস্তা সংস্কার প্রকল্পে ১ লক্ষ ৪০ হাজার ১৮৪ টাকার দুর্নীতি হয়েছে। ২০১৮-’১৯ অর্থ বছরে উত্তর রায়টা সোবাহানের বাড়ি হতে আজগারের বাড়ি অভিমুখে ইটের সোলিং রাস্তায় ৬০হাজার টাকা, রায়টা প্রাইমারি স্কুল থেকে আমানের বাড়ি পর্যন্ত ইটের রাস্তা সংস্কারে ৬০ হাজার টাকা, উত্তর রায়টার গোবিন্দর বাড়ি হতে আজিজ বিশ্বাসের বাড়ির অভিমুখে মাটির রাস্তায় ৪৫ হাজার টাকা, ইসরাইলের বাড়ি হতে সামছুর খানের বাড়ির অভিমুখে মাটির রাস্তা সংস্কারে ৪৫ হাজার টাকা, পশ্চিম কুশোডাঙ্গা হাইস্কুলের মুখ হতে পীর কর্মকারের বাড়ির অভিমুখে মাটির রাস্তায় ৬৫ হাজার ২১০ টাকা, চিতলা লুৎফরের বাড়ির পাশের ব্রিজ অভিমুখে মাটির রাস্তায় ৪৫ হাজার টাকা, রায়টা বিউটির বাড়ি হতে খ্রিষ্টানপাড়া অভিমুখে মাটির রাস্তায় ৫.৪৫৪ মে. টন চাল আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন ওই ইউনিয়নের মানুষ। এছাড়া মৃত লিয়াকত আলীর স্ত্রী ওয়াহেদা খাতুনের শাকদাহ বাড়ির সোলার স্থাপনেও নাকি দুর্নীতি হয়েছে। এসব অনিয়ম দুর্নীতি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার কলারোয়া বরাবর কলাটুপি গ্রামের মৃত ছমেদ সরদারের পুত্র বাবর আলী সরদার গত ২৪ ডিসেম্বর এক লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ব্যপারে ১০নং কুশোডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আসলামুল আলম আসলাম জানান, অভিযোগ পত্রের বাদীর বিবরণ মিথ্যা, সরকারি টাকার দুর্নীতি অনিয়ম হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সমনে নিয়ে আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি মহল জনগণ থেকে বিছিন্ন হয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ভোট দেবে ভোটাররা, জনগণ আমার পাশে আছে।
Leave a Reply