মো. মুশফিকুর রহমান রিজভি:
‘নির্বাচনের হওয়া’র এ পর্বে আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন সাতক্ষীরা পৌরসভার ০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ আছাদুল ইসলাম ঢালী।
দক্ষিণের মশাল: কেমন আছেন?
মোঃ আছাদুল ইসলাম ঢালী: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?
দক্ষিণের মশাল: আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আপনি তো মূলত একজন ব্যবসায়ী, হঠাৎ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত কেন নিলেন?
মোঃ আছাদুল ইসলাম ঢালী: ধন্যবাদ সুন্দর একটি প্রশ্ন করার জন্য। জনগণের সেবা করাই আমার নির্বাচনে আসার মূল উদ্দেশ্য। আমার পিতা মরহুম সাহাজউদ্দিন ঢালী তার জীবদ্দশায় জনগণের সেবা করে গেছেন। আমিও তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জনগণের সেবা করার উদ্দেশ্যেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। জনগণও আমাকে চাচ্ছেন। বিভিন্নভাবে জনগণের সাড়া পেয়েই আমার নির্বাচনে আসা।
দক্ষিণের মশাল: সাতক্ষীরা পৌরসভার ০১নং ওয়ার্ডে প্রায় এক ডজন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা জানান দিয়েছেন। এই এক ডজন প্রার্থীর মধ্যে জনগণ কেন আপনাকে বেছে নিবেন?
মোঃ আছাদুল ইসলাম ঢালী: আসলেই আপনার কথাটি সত্য। সাতক্ষীরা পৌরসভায় যতগুলো ওয়ার্ড আছে ০১নং ওয়ার্ডেই মনে হয় সবচেয়ে বেশি প্রার্থী। এত প্রার্থী হওয়ার কারণ হচ্ছে আমাদের ০১নং ওয়ার্ডের অনেক সমস্যা। দীর্ঘদিন যাবৎ ০১নং ওয়ার্ডবাসীরা নানা রকম সমস্যায় জর্জরিত। বিগত দিনে যে সমস্ত কাউন্সিলররা ছিলো তারা হয়তো জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন এজন্যই এত প্রার্থী।
আর জনগণ কেন আমাকে বেছে নেবেন যদি এই প্রশ্ন করেন তাহলে আমি বলব আমার পরিবার ঢালী পরিবার আমাদের পরিবারের একটি ঐতিহ্য আছে। আজ পর্যন্ত আমাদের পরিবারের কোন বদনাম নেই। আমরা জনগণের সাথে ছিলাম আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। জনগণের সেবা করাই আমার পরিবার এবং আমার উদ্দেশ্য। প্রার্থী হিসেবে আমি মনে করি যত জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন সবাই ভালো। কেউই খারাপ না, তারপরও আমি নিজেকে সবার চেয়ে যোগ্য বলে মনে করি। এজন্য জনগণ আমাকে বেছে নেবে।
দক্ষিণের মশাল: নির্বাচনে জয়ী হলে ওয়ার্ডবাসীর জন্য আপনি কি কি কাজ করবেন?
মোঃ আছাদুল ইসলাম ঢালী: যদি আমি নির্বাচিত হতে পারি আমার প্রধান কাজ হবে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা। চুরি ডাকাতি বন্ধ করা এবং জলাবদ্ধতা নিরসণ করা। পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনের ব্যবস্থা করা। আমাদের এক নম্বর ওয়ার্ডের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জলাবদ্ধতা। আমরা দেখেছি এই জলাবদ্ধতার জন্য অনেকেই উদ্যোগ নিয়েছেন কিন্তু আমরা ফলপ্রসূ কিছু পায় না। বর্ষা মৌসুম আসলেই আমাদের ১নং ওয়ার্ডের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে থাকে। আমাদের এক নম্বর ওয়ার্ডের মাঠপাড়ার অবস্থা সাংঘাতিক খারাপ। আমি নির্বাচিত হলে ইনশাআল্লাহ এই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করব। ড্রেনের ব্যবস্থা করব এবং যে সমস্ত রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত আছে সেগুলো ভালো করার চেষ্টা করব।
আমি নির্বাচিত হলে প্রতিমাসে কমপক্ষে একবার সাধারণ জনগণ বিশেষ করে যারা নিম্নআয়ের এবং হতদরিদ্র তাদের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের ব্যবস্থা করব যেখান থেকে তারা বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবে। বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করবো। কাউন্সিলরদের পৌরসভা থেকে যে সম্মানী ভাতা ও চিকিৎসা ভাতা দেওয়া হয় সেই টাকাটা প্রতিমাসে একটি কমিটির মাধ্যমে অসহায় মানুষদের মাঝে বিতরণ করবো।
দক্ষিণের মশাল: আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আপনি জনসংযোগ করছেন, মানুষের দোরগোড়ায় যাচ্ছেন, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
মোঃ আছাদুল ইসলাম ঢালী: আলহামদুলিল্লাহ ভালোই সাড়া পাচ্ছি। কারণ আমি সেই বর্ষা মৌসুম থেকে এরপর করোনা মহামারীর সময় সব সময় মাঠে আছি। এর আগেও মাঠে ছিলাম মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছি। তো সব মিলিয়ে জনগণের কাছ থেকে আমি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ নির্বাচনেও আমি জয়লাভ করবো।
দক্ষিণের মশাল: এবার সাতক্ষীরা পৌরসভার নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে হবে। ইভিএম সম্পর্কে আপনার মতামত কি?
মোঃ আছাদুল ইসলাম ঢালী: ডিজিটাল বাংলাদেশ ইভিএম কে অবশ্যই স্বাগত জানাই। তবে আমার মনে হয় আমাদের এলাকার মানুষের ইভিএম সম্পর্কে এখনো পুরোপুরি ধারণা হয়নি। এজন্য ইভিএম নিয়ে জনগণকে আরেকটু নার্সিং করলে ভালো হতো।
Leave a Reply