নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। সোমবার (০৪ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় ছাত্রলীগের জন্মদিন উপলক্ষে সাতক্ষীরার খুলনা রোড মোড়স্থ বঙ্গবন্ধু মুরালের পাদদেশ থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি অনুপম কুমার অনুপ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল আলীমের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিতে ছাত্র নেতাদের স্লোগানে-স্লোগানে রাজপথ মুখরিত হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ আবদুর রাজ্জাক পার্কে গিয়ে শেষ হয়। র্যালি শেষে শহরের দৈনিক ‘দক্ষিণের মশাল’ পত্রিকার বাণিজ্যিক কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) এর সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি অনুপম কুমার অনুপের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এস এম আবদুল আলীমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, জেলা জাসদের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ জাকির হোসেন, যুব জোট সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিলন ঘোষাল, জেলা জাসদের সদস্য জহুরুল কবির, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) তালা উপজেলা শাখার সভাপতি এস এম শামীম হোসেন, সদস্য আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বাঙালী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তোলার আন্দোলনে রূপান্তরের কারিগর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে খুনি খন্দকার মোশতাকসহ আওয়ামী লীগের একাংশ ক্ষমতা দখল করলে ছাত্রলীগ খুনি খন্দকার মোশতাকের বিরুদ্ধে কালবিলম্ব না করে আন্দোলনে অবতীর্ণ হয়। খুনি মোশতাকের ৮৩ দিনের শাসনকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর রাষ্ট্রীয় নির্যাতন-নিপীড়ন চলে। খুনি মোশতাকের পথ ধরে জিয়া ও এরশাদ দেশের উপর সামরিক শাসন চাপিয়ে দিলে ছাত্রলীগ জিয়া ও এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে মারমুখী সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়। ১৯৮২ সালে এরশাদ সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগই প্রথম আন্দোলনের সূত্রপাত করে। এরশাদ সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র গণআন্দোলনে ছাত্রলীগ নেতা জয়নাল, শাজাহান সিরাজ, ডাঃ মিলন, জাহাঙ্গীর, মুন্নাসহ ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী শহীদ হন।
বক্তারা আরও বলেন, অতীতের গৌরব উজ্জ্বল সংগ্রাম ও চেতনাকে ধারণ করে বর্তমানে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বৈষম্য-বেকার সৃষ্টির সমাজ ও শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন, দুর্নীতি ও অপশাসনে শিক্ষার্থীদের জীবনের অপচয় বন্ধ, ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি বিরোধী ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নির্মূল করার লক্ষ্যে অবিচল থেকে ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা কমিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply