বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন ওরফে রমা ওরফে কৃষ্ণার জন্ম বাংলাদেশের পাবনা জেলায়। তার অনবদ্য অভিনয় এবং অপরূপ সৌন্দর্য আজও দাগ কেটে আছে কোটি দর্শকের হৃদয়ে।
অভিনয়গুণে তিনি হয়ে উঠেছিলেন দুই বাংলার চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষের কাছে মহানায়িকা। আজ সেই মহানায়িকার পঞ্চম প্রয়াণ দিবস। ২০১৪ সালের এই দিনে কলকাতায় ইহলোক ত্যাগ করেন তিনি।
সুচিত্রা সেনের সপ্তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে পাবনায় বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন, সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন। সকাল ১০টায় পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেম সাগর লেনে মহানায়িকার পৈতৃক বাড়িতে তার ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। পরে সুচিত্রার শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত বিদ্যাপীঠ পাবনা টাউন গার্লস হাইস্কুল পর্যন্ত পদযাত্রায় অংশ নেবেন সর্বস্তরের মানুষ। পদযাত্রার পর স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে ‘সুচিত্রা সেন স্মরণসভা।
এর বাইরে সুচিত্রা সেন অভিনীত চলচ্চিত্রের গান পরিবেশন করা হবে। এছাড়াও সপ্তসুর পাবনার আয়োজনে বেলা সাড়ে ১১টায় অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে আয়োজন করা হয়েছে স্মরণসভার। পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়ি। পাবনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে (বর্তমানে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়) নবম শ্রেণীতে পড়েন।
তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেন সে সময়ের মহাকালী পাঠশালায়, যার বর্তমান নাম পাবনা টাউন গার্লস হাইস্কুল। তার বাবা পাবনা পৌরসভায় স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদ থেকে অবসর নেন এবং ’৫০-এর দশকে সপরিবারে ভারতে চলে যান।
সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়িটি প্রথমে শত্র“ সম্পত্তি এবং পরে অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে জেলা প্রশাসনের অধীনে থাকে। এরই মধ্যে এরশাদ আমলে বাড়িটি জামায়াত পরিচালিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দখলে চলে যায়। তাদের দখল থেকে মুক্ত করে বাড়িটি মহানায়িকার সংগ্রহশালা বা স্মৃতিকেন্দ্র করার দাবিতে স্থানীয়রা আন্দোলনে নামেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাড়িটি দখলমুক্ত হলে প্রশাসনের হেফাজতে দেয়া হয়।
Leave a Reply