কুষ্টিয়ার মিরপুরে বাড়ীর পাশে পতিত জমিতে দেশীয় ফলের গাছ রোপনের মাধ্যমে পুষ্টি চাহিদা পুরণের লক্ষ্যে দেশজ কুল গ্রাম প্রদর্শনীর উপরে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মিরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উদ্যোগে উপজেলার বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের নওদা খাঁড়ারা এলাকায় “বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দেশজ কুল গ্রাম প্রদর্শনীর উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এতে মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস। প্রধান অতিথির বক্তব্য লিংকন বিশ্বাস বলেন, “বর্তমান সরকারের নির্দেশনা মতে আমাদের দেশে মানুষের পুষ্টির চাহিদা নিশ্চিতে কাজ করতে হবে। বসতবাড়ীতে দেশীয় এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ ফলের গাছ রোপন করতে হবে। প্রতিটি পরিবারে একটি করে পারিবারিক খামার স্থাপন করতে হবে। যাতে সেখান থেকে পরিবারের পুষ্টি নিশ্চিত করা যায়।”
সভাপতির বক্তব্যে রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, “বাড়ীর আঙ্গিনায় এবং আশেপাশের পতিত জমিতে আমরা দেশীয় ফল চাষের মাধ্যমে পরিবারের ফলের চাহিদা পুরণ করতে পারি। আমাদের এই অঞ্চলের মাটি কুল চাষের জন্য উপযোগী। আমরা বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই এলাকার ২০০টি কৃষক পরিবারে বলসুন্দরী জাতের কুলের চারা রোপন করে দিয়েছি।”
তিনি আরো বলেন, “কৃষিকে এগিয়ে নিতে হলে, আমাদের কৃষকদের জীবনমানের উন্নতির জন্য আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ এবং কৃষি উৎপাদন খরচ কমাতে যান্ত্রিক পদ্ধতির কোন বিকল্প নেই। বলসুন্দরী জাতের কুল চাষ বানিজ্যিক ভাবেও করা যায়। এটি বানিজ্যিক ভাবে চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। এটি খুবই লাভজনক এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ। এই অঞ্চলে দিন দিন এর চাষ বাড়ছে। এটি একটি সম্ভাবনাময় ফসল।”
অনুষ্ঠানে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহিরুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মিরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জোয়ার্দ্দার, বহলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা বিশ্বাস, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শুকেশ রঞ্জন পাল, বিশ্বনাথ পাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উক্ত এলাকার প্রায় শতাধিক কৃষক ও কৃষানী এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply