আাশাশুনি সংবাদদাতা: আশাশুনির বিভিন্ন হাট বাজারে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার প্রতি ১শত থেকে ১শত ২০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। সরকারি কোনো ঘোষণা ছাড়াই এ মুল্য বৃদ্ধিতে গ্রাহকরা বিপাকে পড়েছেন। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, উপজেলার সর্বত্র এলপি গ্যাস (লিকুয়েন্ট পেট্রোলিয়াম গ্যাস) প্রতি বোতল ১ সপ্তাহ আগে খুচরা পর্যায়ে প্রকার ভেদে ৭শত ৫০ টাকা থেকে হঠাৎ করে বেড়ে ৯শত চল্লিশ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কোম্পানি ভেদে গ্যাসের মূল্য সিলিন্ডার প্রতি আরও বেশী নিচ্ছে অভিযোগ করেন অনেক ক্রেতা। হঠাৎ করে অধিক মূল্যেগ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারন গ্রাহকরা। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের ওয়াবসাইটে প্রদত্ত সর্বশেষ ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বরের তথ্যানুযায়ী সাড়ে ১২ কেজি গ্যাসের প্রতি সিলিন্ডার স্থানীয় বিক্রয় মূল্য ৬০০টাকা নির্ধারন করা আছে। এর পরথেকে এ পর্যন্ত এপিজি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কোন নির্দেশনা ওয়াব সাইটে নেই। অথচ আশাশুনির বুধহাটা ,বড়দল, আশাশুনি সদর, শ্রীউলা, মহিষকুড়সহ ছোট বড় দশটি হাট বাজার ঘুরে দেথা গেছে, বর্তমান ব্যবসায়ীরা প্রতি সিলিন্ডার(১২.৫ কেজি)কোম্পানি ভেদে ৯৩০ টাকা থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রয় করছেন। এক এক বাজারে এক এক রকম দরে গ্যাস সহ সিলিন্ডার বিক্রয় করছে।হঠাৎ করে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন গ্রাহকরা। আশাশুনির বুধহাটা বাজারের গ্যাস সিলিন্ডার একজন বিক্রেতা বলেন ১ জানুয়ারী থেকে প্রতি সিলিন্ডারে ৬০টাকা হারে বৃদ্ধি করেছেন। যে সব গ্যাস বিক্রেতাদের কাছে সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়েছে তাদের ডিপো কতৃপক্ষ মোবাইল ম্যাসেজ এর মাধ্যমে মূল্য বৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন। অপর দিকে আশাশুনির মনোহরিদোকান, ক্রোকারিজের দোকান, ভুসিমালের দোকান, রড সিমেন্টের দোকানসহ যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। অনেক দোকানি তাদের দোকানের সামনে রাস্তার পাশে রেখেই গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছেন।
Leave a Reply