স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘আবাহনীর বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচ নিয়ে আমরা উত্তেজিত। আমাদের একটি ভাল খেলা খেলতে হবে এবং একটি জয় পাব বলে বিশ্বাস করি।’ বলেছেন অস্কার ব্রæজোন, বসুন্ধরা কিংসের কোচ। আবাহনী কোচ মারিও লেমোস বলেন, ‘বসুন্ধরার শক্তি সর্ম্পকে সবাই জানে। তবে ২০১৮ সালে ফেডারেশন কাপে কিন্তু আমরা তাদেরকে হারিয়েছি।’ এই দল দুটো বৃহস্পতিবার পরস্পরের মুখোমুখি হবে, বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে, ফেডারেশন কাপের সেমির লড়াইয়ে। ফুটবলামোদীদের মতে, এই ম্যাচটি ফাইনাল ম্যাচ হতে পারতো। এই সেমির ম্যাচই যেন অঘোষিত ফাইনাল!
একদিকে ফেডারেশন কাপের সবচেয়ে সফল দল (১১ বার চ্যাম্পিয়ন, ১৮ বারের ফাইনালিস্ট) ঢাকা আবাহনী, যারা দেশীয় ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী এবং প্রতিষ্ঠিত শক্তি। অন্যদিকে ফেডারেশনের কাপের একবারের ও সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস, যারা দেশীয় ফুটবলের নতুন পরাশক্তি। একসময় দেশের ফুটবলের প্রধান দুই শক্তি ছিল আবাহনী-মোহামেডান। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় মোহামেডান আজ ক্ষয়িষ্ণু দলে পরিণত হয়েছে। আবাহনীর প্রবল প্রতিপক্ষ হিসেবে মোহামেডানের সেই জায়গাটা নিয়ে নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। ২০১৮ সালে আত্মপ্রকাশ করে তারা। আবিভার্বেই লীগ শিরোপা জেতে তারা। ওই মৌসুমেই জেতে জেতে স্বাধীনতা কাপ এবং পরের মৌসুমে ফেডারেশন কাপের শিরোপা।
পক্ষান্তরে বসুন্ধরা খেলতে শুরু করার পর থেকে এ পর্যন্ত আবাহনী জিতেছে কেবল ২০১৮ সালের ফেডারেশন কাপ। ফাইনালে তারা ৩-১ গোলে হারিয়েছিল এই বসুন্ধরাকেই! তার মানে বসুন্ধরার আবিভার্বের পর থেকে আবাহনী ট্রফি জেতার ক্ষেত্রে বেশি সুবিধে করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, ২০১৮-১৯ মৌসুমের লীগেও কিংসের কাছে দু’বারই হেরেছিল আবাহনী (৩-০ ও ১-০ গোলে)। করোনায় গত মৌসুম পরিত্যক্ত হলেও অন্য সবার চেয়ে প্রস্তুতিতে সবার চেয়ে এগিয়ে অস্কার ব্রুজোনের দল বসুন্ধরা। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে চারমাসেরও বেশি সময় অনুশীলন করেছে তারা। কিংসের সবচেয়ে বড় শক্তির দিক হল-তাদের দলে আছে তিন লাতিন ফুটবলার ব্রাজিলের রবসন, জোনাথন এবং আর্জেন্টিনার বেসেরা। এই পর্যন্ত যে ছয় গোল করেছে কিংসরা, তার সবগুলোই করেছেন তারা। পক্ষান্তরে ‘দ্য স্কাই ব্লু ব্রিগেড’ খ্যাত আবাহনীর প্রস্তুতি ছিল মাত্র এক মাস। তবে সাত ফুটবলার জাতীয় দলের হওয়ায় তারা বাড়তি প্রস্তুতির সুযোগ পেয়েছেন।
Leave a Reply