1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৮ অপরাহ্ন
৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
Latest Posts
📰আশাশুনিতে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত📰প্রত্যেক উপজেলায় একটি সরকারি মাদ্রাসা করার সুপারিশ: সাতক্ষীরা ডিসি📰হাসিনাকে ফেরত না দিলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক সুখের হবে না: ড. ইউনূস📰পাশের দেশের মিডিয়া মিথ্যা প্রচার করে বেশি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা📰সাতক্ষীরার তিন নারী ফুটবলারকে গণসংবর্ধনা দেবে জেলা প্রশাসন📰জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ 📰সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শিশু শ্রম ও শিশু অধিকার বিষয়ক সিসিডিবি’র কর্মশালা📰জমজমের পানি পানে ৮ নির্দেশনা দিলো সৌদির📰দুহাত তুলে দোয়া চাইলেন পলক📰চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রিতে

নদীকে বাঁচতে দিন

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৫৭২ সংবাদটি পড়া হয়েছে
রিপন চন্দ্র পাল

এসব নদীর সঙ্গে এদেশের মানুষের আত্মিক সম্পর্ক। একটা সময় নদী দিয়ে সব ধরনের পণ্য আনা-নেওয়া করা হতো এখনও হয়। তবে এখন নানা ধরনের পথ সৃষ্টি হয়েছে। তবুও নদীর কদর এখনও যথেষ্ট আছে। নদী পাড়েই আমাদের দেশের শহর গড়ে উঠেছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেটসহ অনেক শহর নদীর তীরে গড়ে উঠেছে।

কিন্তু দেশে যত নগরায়ন হচ্ছে তত দূষিত হচ্ছে আমাদের নদী। ইতোমধ্যে অনেক নদী হারানোর পথে। নগরায়নের ফলে প্রতিনিয়ত নানা শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মিত হচ্ছে আর তাদের বর্জ্যগুলো নদীতে ফেলছে। এ কারণে নদী হারাতে বসেছে তাদের নাব্য, ভেসে উঠেছে চর। শুধু তা না নদীকে সবাই বর্জ্যরে ভাগাড় বানিয়ে ফেলেছে, বাস্তবে দেখা যায় যে একটা শহরের যত বর্জ্য আছে তা অন্য কোন দিকে না ফেলে নদীর পাড়ে জমা করে। এছাড়া শহরের সব জায়গায় ডাস্টবিন না থাকার কারণে যত্রতত্র নানা রকম প্লাস্টিকের প্যাকেট ফেলে দেয়ায় বাতাসের সঙ্গে সেটাও নদীতে চলে আসে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় সিলেট শহরের কীন ব্রিজ, কাজীর বাজার ব্রিজ, নতুন ব্রিজ ও চাঁদনীঘাট পয়েন্টের খেয়া নৌকা দিয়ে নদী পার হলে দেখা যায় শহরের বর্জ্য নদীতে বিপজ্জনকভাবে পড়ছে। নদীর এমন দূষণে বর্ষা মৌসুমে তেমনটা বুঝা যায় না ঠিকই কিন্তু শুকনো মৌসুমে জল কালো ও দুর্গন্ধ হয়। বেসরকারী সংস্থা এনভায়রনমেন্ট এ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ২০১৯ সালের তথ্যানুসারে বাংলাদেশে জলে স্থলে ৬৫ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য জমা হয়েছে। প্রতিদিন আরও ৩ হাজার টন জমা হচ্ছে। আবার দেশের ৬১ শতাংশ মানুষ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করে। করোনার সময়ে ব্যবহৃত ৯২ শতাংশ মাস্ক ও গ্লাভস খাল, বিল, নালা হয়ে নদীতে আসছে যেখানে বলা হয়েছিল ব্যবহৃত মাস্ক ও গ্লাভস পুড়িয়ে ফেলতে। নদীতে চরম মাত্রায় দূষণ হওয়ার কারণে নানা প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হতে বসেছে। এমনকি নদী ঘিরে যে ইকোসিস্টেম আছে সেটাতেও ব্যাঘাত ঘটছে। শহরে গেলে দেখা যায় যে সব জায়গায় ঠিকঠাকভাবে ডাস্টবিন নেই। তাই যদি দেশের সর্বত্র ডাস্টবিন বসানো হয় তাহলে সেই বর্জ্যরে পরিমাণ কিছুটা হলেও কমবে।

যত্রতত্র কেউ যাতে ময়লা আবর্জনা ফেলতে না পারে সেদিকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কড়া নজরদারি দরকার। ক্রমে দেশে থেকে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার হ্রাস করে পাটজাত বা বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। সেই সঙ্গে বর্জ্য ফেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থান ঠিক করে, প্রশিক্ষিত লোকজন নিয়োগ করলে নদী যেমন বাঁচবে আর কর্মসংস্থান হবে অনেক মানুষের।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd