অনলাইন ডেস্ক ॥ ভোটে হারলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প যে এখনও প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা নিয়ে আছেন, তার চর্চা তিনি করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বরখাস্ত করার মধ্য দিয়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সোমবার টুইটারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত জানান।
এতদিন দায়িত্ব পালনের জন্য এসপারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে ক্রিস্টোফার সি মিলারকে মনোনীত করেছেন।
মিলার ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টারের পরিচালক ছিলেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের ক্ষমতার মেয়াদ আর মাত্র দুই মাস ১০ দিন; এর মধ্যেই মন্ত্রী বদলালেন তিনি।
এদিকে সিএনএন জানিয়েছে, মার্ক এসপার পদত্যাগের সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন, পদত্যাগপত্র জমা দিতেও যাচ্ছিলেন তিনি।
নানা বিষয় নিয়েই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এসপারের মতানৈক্য চলছিল।
কয়েক মাস আগে পুলিশের নিপীড়নে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর বিক্ষোভ দমনে ট্রাম্প সেনা ব্যবহারের হুমকি দিলে তার সরাসরি বিরোধিতা করেছিলেন এসপার।
বলেছিলেন, বর্ণবাদী অন্যায়, অবিচার এবং ফ্লয়েডের মৃত্যু নিয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া অস্থিরতা প্রশমনে ‘ইনসারেকশন অ্যাক্ট’ (যে ফেডারেল আইনে প্রেসিডেন্ট সেনা মোতায়েনের ক্ষমতা রাখেন) এর শরণাপন্ন হওয়াটা তিনি সমর্থন করেন না।
এসপারের মতে, একমাত্র শেষ উপায় হিসাবেই সক্রিয় দায়িত্বে থাকা সামরিক বাহিনীকে আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর ভূমিকায় নামানোর বিকল্প পথ অবলম্বন করা উচিত। পরিস্থিতি খুবই গুরুতর এবং ভয়াবহ হলেই কেবল তা করা যেতে পারে।
এই বিরোধিতার জেরে এসপারের সঙ্গে ট্রাম্পের বিরোধ নতুন মাত্রা পায়। ট্রাম্প এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও ব্রায়ানও এরপর থেকে এসপারকে ভাল চোখে দেখতেন না এবং সেনাবাহিনী নিয়ে ট্রাম্পের মতামতের প্রতি তিনি পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না বলেই মনে করতেন।
এবার তাকে বরখাস্ত করে ট্রাম্প আগামী আড়াই মাস তার ক্ষমতা চর্চা চালিয়ে যাওয়ারই আলামত দিলেন।
এই সময়ের মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে এবং সিআইএ পরিচালক জিনা হাসপেলকেও ট্রাম্প সরাতে পারেন, বলছেন সহযোগীরা।
ট্রাম্প তার এক মেয়াদে এর আগে আরও বদলেছেন একাধিক চিফ অব স্টাফ। প্রেস সেক্রেটারি, উপদেষ্টা- একেক সময়ে একেকজনের পদত্যাগের পাশাপাশি নানান সময়ে ট্রাম্প নানাজনকে বরখাস্ত করেছেন।
২০১৯ সালের জুলাইয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহানের জায়গায় মার্ক এসপারকে নিয়োগ করেছিলেন ট্রাম্প। শানাহানের আগে ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পদত্যাগ করতে হয়েছিল আরেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিসকে।
Leave a Reply