মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয়ে সাতক্ষীরায় ১২০ কিলোমিটার মোটরসাইকেল র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। র্যালির স্লোগান ছিল-‘আর নয় মাদক। মাদক গ্রহণ নয়, বেচাকেনাও নয়’। শত তরুণের স্লোগানে সাতক্ষীরায় শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সাতক্ষীরা সদরের বাবুলিয়া থেকে শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত ওই র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পথে যেতে এ সময় বিভিন্ন এলাকায় জনসচেতনামূলক সমাবেশও করা হয়। সেবা সংঘ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় ওই র্যালি বের করে। এতে ১৫০টি মোটরসাইকেল অংশ নেন। র্যালিটি সাতক্ষীরার দেবহাটার পারুলিয়া, সখীপুর, কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা, কাটুনিয়া রাজবাড়ি, শ্যামনগরের খানপুর, নূরনগর, পরানপুর, নকিপুর শাহী মসজিদ, বংশীপুর, ঈশ্বরীপুর শাহী মসজিদ, মুন্সিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, কলবাড়ি, নোয়াবেকি, কালিগঞ্জের বালিয়াডাঙা বাজার, বিষ্ণুপুর বাজারসহ বিভিন্ন দর্শনীয় পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে। একই সাথে মাদকের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে সকলকে জেগে ওঠার আহ্বান জানানো হয়। পথে পথে করা হয় সমাবেশ। তুলে ধরা হয় মাদকের কুফল ও নেতিবাচক প্রভাব।
সর্বশেষ সুন্দরবন সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে সমাবেশ করা হয়। এরপর বিকল্প পথে র্যালিটি আবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ফিরে আসে। বিভিন্ন সমাবেশে বক্তব্য দেন সেবা সংসদের সভাপতি কওসার আলী, সেক্রেটারি রজব আলী, মো. মহিবুল্লাহ, জুলফিকার আলি ও মো. ইসরাইল হোসেন। বক্তারা বলেন, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে সর্বনাশা মাদকের বিষবাষ্প। মরণ নেশার নীল দংশিত হচ্ছে যুবসমাজ। নেশা সর্বনাশা জেনেও যুব সমাজ এ মরণ নেশায় আসক্ত হচ্ছে। ভারতের সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরা হওয়ার কারণে মাদকের সদর দরজায় পরিণত হয়েছে। সুন্দরবনসহ ডাঙা, নদী সীমান্ত ও চোরাইপথ দিয়ে প্রতিদিন আসছে ফেন্সিডিল, গাঁজা, ইয়াবা, মদ ও চরসসহ নানা ধরনের মাদকদ্রব্য। গ্রামবাসীর সচেতনতার অভাবে এই দীর্ঘ সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার রোধ করতে পারছে না আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। যুব সমাজকে বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বক্তারা, মাদকাসক্তদের এই অন্ধকার পথ ছেড়ে আলোর পথে ফিরে আসার আহ্বান জানান।
Leave a Reply