নিধন প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় ও জন্ম নিয়ন্ত্রনের ব্যাবস্থা না থাকায় সাতক্ষীরা পৌরসভা এলাকায় দিন কি দিন বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েই চলেছে। শহরের মোড়ে মোড়ে বিশেষ করে রাতে যেন ডজন ডজন কুকুর দল বেধে অবস্থান করছে। প্রতিদিন কুকুরের কামড়ে মানুষ মারাত্মক জখম হচ্ছেন।
এরপরও পৌর কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা নেই। আর চিকিৎসা প্রাপ্তির জন্য ভ্যাকসিন দিতে ভিড় জমছে সদর হাসপাতালে। তবে পৌর পিতা বলছেন, এখন কুকুর হত্যা করা যাবেনা। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে ভিন্ন পথ অবলম্বন করা হচ্ছে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জলাতঙ্ক বিভাগের চিত্র থেকে দেখাগেছে, চলতি মাসের ১২দিনে কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে সদর হাসপাতালের জলাতঙ্ক বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৩৯ জন। এরমধ্যে গত বৃহস্পতিবার চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৫জন। এই ১২দিনে কুকুরে কামড়ানো পুরাতন রোগিরা চিকিৎসা নিয়েছেন ৫১৭ জন। গত অক্টোবর মাসে কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন নতুন ৩২৬ জন এবং পুরানো রোগি চিকিৎসা নিয়েছেন ৯০৬ জন। আহতদের অধিকাংশই গুরুতর জখম হয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের জলাতঙ্ক বিভাগের চিকিৎসক। একই সাথে আহদের অধিকাংশই বৃদ্ধ বৃদ্ধা ও শিশু কিশোর রয়েছে।
এব্যাপারে সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকীন আহমেদ চিশতী বলেন, সরকারি নির্দেশনা রয়েছে এখন কুকুর হত্যা করা যাবেন। তাই পাগলা কুকুরদের নিবৃত করতে রাতে তাদের মোড়ে মোড়ে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রতিটি এলাকার পরিচ্ছন কর্মীদের সে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই সাথে তিনি পৌরবাসীকে আরও সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েনে। সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ হুসাইন সাফায়েত জানান, ঋতুগত কারণে কখনও কখনও কুকুরের আক্রমণ ভাবটা বেড়ে যায়। তারা অনেকটাই উন্মাদ হয়ে পড়ে। ফলে সাধারণ মানুষকে হঠাৎ হঠাৎ কামড়াতে থাকে। বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন রয়েছে। তবে কুকুরে কামড়ানো রোগির সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সেক্ষেত্রে যদি ভ্যাকসিনের সংকট পড়ে ব্যক্তি উদ্যোগে ভ্যাকসিন গ্রহণের আহবান করেন জেলাবাসীর প্রতি। কারণ কুকুরে কামড়ানোর পর ভ্যাকসিন না নিলে মৃত্যুর আশংকা থেকে যায় শতভাগ। ফলে সরকারি সেবা তো চলছেই। পাশাপাশি নিজ নিজ উদ্যোগে অবশ্যই চিকিৎসা গ্রহণের পাশাপাশি সকলকে সতর্কভাবে চলাচলের অনুরোধ করেছেন।
Leave a Reply