সাতক্ষীরায় নিখোঁজ নবজাতক শিশুপুত্র সোহানের মরদেহ উদ্ধার, বাবা-মা গ্রেপ্তার

সাতক্ষীরায় মায়ের পাশ থেকে চুরি হওয়া ১৫ দিন বয়সের নবজাতক সোহান হোসেনের লাশ তার বাবা-মায়ের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তাদের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

-দক্ষিনের মশার
নিহত নবজাতক সোহান ও ঘাতক পিতা


শনিবার রাত ১ টার দিকে সদরের হাওয়ালখালী গ্রামে শিশু সোহানের নিজ বাড়ির সেপটিক ট্যাংকি হতে তার লাশ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ। সাতক্ষীরা পুলিশের কাছে নবজাতকের পিতা সোহাগ হোসেন ও তার মাতা ফাতেমার স্বীকারোক্তিতে এ লাশ উদ্ধার হয়। এঘটনায় নিহত নবজাতকের পিতা সোহাগকে পুলিশ আটক করে। মাতা ফাতেমা অসুস্থ থাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শনিবার (২৮ নভেম্বর) ভোর রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার হাওয়ালখালি গ্রামের তাদের বাড়ির সামনের সেফটি ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নবজাতক সোহানের খুনি গর্ভধারিনী মাকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে


পুলিশ জানায়, দু’বছর আগে নানির বাড়িতে আশ্রিতা ফাতেমা কলারোয়া উপজেলার সাহাপুর গ্রামের সোহাগ হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। শ্বশুর বাড়িতে কিছুদিন থাকার পর পারিবারিক কলহের কারণে আবারও স্বামীকে নিয়ে তাকে আশ্রয় নিতে হয় নানির বাড়ি সদর উপজেলার হাওয়ালখালিতে। গত ১১ নভেম্বর সাতক্ষীরা শহরের আনোয়ারা ক্লিনিকে জন্ম নেয় তাদের একটি পুত্র সন্তান। শিশুটির নাম রাখা হয় সোহান হোসেন। এরপর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে যেতে হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গত ২৫ নভেম্বর বুধবার তারা সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির বারান্দায় ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে শিশুটি হারিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাহ উদ্দীন জানান, পুলিশ এ ঘটনায় সন্দেভাজন শিশুটির মা ও বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান, যে

নিহত সোহানের খুনি মা ও বাবা

শিশুটি খুবই অসুস্থ ছিল। সে জন্ডিস, রিকেট ও নিউমোনিয়া, হার্টের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিল।
তিনি জানান, এ সমস্ত কারনে ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনের যোগসাজশে শিশু হত্যা এবং মরদেহ গুমের ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাহ উদ্দীন


তিনি আরো জানান, শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন শিশশুটিকে মেরে তাদের বাড়ির সামনের সেফটি ট্যাংকির ভিতরে মরদেহটি ফেলে দেয়। আর এ কাজে সহযোগীতা করে তার মা ফাতেমা খাতুন। পুলিশ বিষয়টি জানার পর শনিবার রাতে মরদেহটি উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বিস্তারিত পরে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে জানাবেন বলেও জানান তিনি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *