যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আগেই ভোট পড়ল প্রায় ১০ কোটি

অনলাইন ডেস্ক ॥ করোনা পরিস্থিতির ফলে আমূল বদলে গেল ছবিটা। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বুথে গিয়ে ভোটদান-পর্ব শুরু হবে। তার আগেই প্রায় ভোট দিয়েছেন ১০ কোটি ভোটার। করোনার ভয়ে আগে থেকেই পোস্টাল ব্যালট এবং আর্লিং ভোটিং-এর ডাকে সাড়া দিয়েছেন তারা। সোমবার পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, নয় কোটি ৭৬ লাখের বেশি আগাম ভোট পড়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এক নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে।

করোনার ভয় স্বাভাবিক। যুক্তরাষ্ট্রের এরইমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ছুঁইছুঁই। মারা গেছেন দুই লাখ ৩১ হাজারেরও বেশি মানুষ। এই অবস্থায় পোস্টাল ব্যালট বা আগে ভোটদানের সুবিধা নেওয়ার মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই।

এমন বাস্তবতায় এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ইতিহাসে ঢুকে পড়েছে। ভোটের দিন অধিকাংশ মানুষ ভোট দেবেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দীর্ঘদিনের এই ছবিটা যেন এবার আমূল বদলে গেছে। এবার ভোটদাতাদের একটা বড় অংশ নিরাপদে থাকতে চেয়েছেন। এই মানসিকতার কারণেই বদলে গেছে ভোটের চিত্র।

ট্রাম্প আগেই বলে রেখেছেন, পোস্টাল ব্যালটে কারচুপির আশঙ্কা আছে। ফল প্রত্যাশা অনুযায়ী না হলে তিনি আদালতেও যেতে পারেন, এমন একটা ধারণা ছড়িয়েছে। সোমবারও ট্রাম্প বলেছেন, পেনসিলভানিয়ায় পোস্টাল ব্যালট গুণতে অনেক সময় লেগে যাবে। তার জন্য ভোটের ফলাফল বন্ধ রাখা যাবে না। সব পোস্টাল ব্যালটের গণনা একদিনেই সেরে ফেলতে হবে।

ট্রাম্পের দাবি মানা হবে কি না, মানা সম্ভব কি না, তা বোঝা যাবে গণনা শুরুর পর। তার আগে এইটুকু বলা যায়, করোনা মানুষের জীবনযাপনে, চিন্তা-ভাবনায় অনেক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। ভোটের ময়দানেও সেই পরিবর্তনের স্পষ্ট ছায়াপাত ঘটেছে।

২০১৬ সালে যেখানে সব মিলিয়ে ভোট পড়েছিল ১৩ কোটি ৬৫ লাখ এবার সেখানে শুধু আগাম ভোটই পড়েছে প্রায় ১০ কোটি। অর্থাৎ গতবারের তুলনায় দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি ভোট এরইমধ্যে পড়ে গেছে। আগাম ভোটের এমন প্রবণতা দেশটিতে গত এক শতকেরও বেশি সময়ের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বেশি ভোট পড়ার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।

সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এবার আগাম ভোটের এমন পরিসংখ্যান নির্বাচনের প্রতি মার্কিন জনগণের আগ্রহেরই প্রমাণ। বিশেষ করে ট্রাম্পকে ফের ক্ষমতায় দেখতে চান না; এমন অনেকেই এবার ভোট দিয়েছেন; যাদের সচরাচর নির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্রহ কাজ করে না। সূত্র: ডিডব্লিউ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *