মণিরামপুর (যশোর) সংবাদদাতা: সরকারের বেঁধে দেওয়া ৩৫ টাকা দামে আলু মিলছে না যশোরের মণিরামপুরে। স্থানভেদে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫; এমনকি ৫০ টাকায়। বিক্রেতারা যে যেমন পারছেন, তেমন দামে বিক্রি করছেন এই নিত্যপণ্যটি। ফলে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে পাঁচ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে আলু কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এই অবস্থা থেকে জনগণকে রেহাই দিতে প্রশাসনিক কোনো তৎপরতাও দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে বাজারে শীতকালীন আগাম সবজি উঠলেও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। সারা বছর উৎপাদিত হয়- এমন সবজির দাম বেশি। ফলে ভীষণ কষ্টে আছেন স্বল্পআয়ের মানুষেরা।
সোমবার মণিরামপুর খুচরা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকা। আর গ্রামাঞ্চলে আলুর কেজি ৪৫-৫০ টাকা। তবে মাসখানেক ধরে স্থির রয়েছে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম; পেঁয়াজ ৮০-৯০ ও রসুন ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মণিরামপুর খুচরা বাজারে কাঁচা কলা ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, ফুলকপি ৭০ টাকা ও মুলা ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে; যা গত মৌসুমের তুলনায় কেজিপ্রতি প্রায় দ্বিগুণ বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। উপজেলার বাকোশপোল গ্রামের ক্রেতা রাজু হোসেন জানান, স্থানীয় বাকোশপোল হাট থেকে ৪৫ টাকায় এক কেজি আলু কিনেছেন।
মণিরামপুর খুচরা কাঁচাবাজার কমিটির সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আলুর দাম ৩০ বা ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে মিডিয়ায় দেখেছি। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা ৩৭ টাকা দরে আলু কিনছে। তাহলে বেঁচবে কত টাকায়?’ তিনি বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজি যা উঠেছে তার দাম গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। অন্য সবজির দাম কমছে না। বেশ কিছুদিন ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহ আবহাওয়া ভালো থাকলে সবজির দাম কিছুটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মণিরামপুর পাইকারি বাজারের আলু ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দীন বলেন, ‘গতকাল কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু কিনেছি ৩৭ টাকা করে,তা আজ ৩৮ টাকায় বিক্রি করেছি।
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে মণিরামপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলমান রয়েছে। অভিযান আরো জোরদার করা হবে।
Leave a Reply