পুরুষকে বেশি সম্পৃক্ত করতে পারলে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধের কাজ আরো বেগবান হতে পারে

নারীপুরুষ দুজনেই মানুষ, এই সত্যটি মাথায় রেখে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে প্রয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, সংশ্লিষ্ট সবার দৃঢ় পদক্ষেপ এবং পুরুষদের বলিষ্ঠ ভূমিকা । নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা রোধে প্রচলিত আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া প্রয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও পুরুষদের সম্পৃক্ততা। কেননা গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষকে বেশি সম্পৃক্ত করতে পারলে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধের কাজ আরো বেগবান হতে পারে।

বরগুনায় নারী ও শিশুদের প্রতি জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা বন্ধে স্থানীয় সুরক্ষা কমিটির সাথে এক মতবিনিময় সভার বক্তারা এসব কথা বলেন।  
বুধবার (২৮ অক্টোবর) বিকাল ৩ টায়  বরগুনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ব্র্যাক জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি কর্মসূচির এনগেজ মেন এন্ড বয়েজ নেটওয়ার্ক ফর প্রোমোটিং জেন্ডার জাস্টিস বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায়  প্রতীকি যুব সংসদের আয়োজনে নারী ও শিশুর প্রতি জেন্ডারভিত্তিক নির্যাতন প্রতিরোধে সুরক্ষা কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বরগুনায় কর্মরত বিভিন্ন  সামাজিক, উন্নয়ন সংগঠন, নারী সংগঠন ও গণমাধ্যম  প্রতিনিধিদের নিয়ে নারী ও শিশুর প্রতি জেন্ডার ভিত্তিক নির্যাতন প্রতিরোধে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 
বরগুনা প্রেসক্লাব সভাপতি সঞ্জীব দাস’এর সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক জেন্ডার জাস্টিস ডাইভারসিটি বিভাগের ডিভিশনাল ম্যানেজার মো. সেলিম মোল্লা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রতীকি যুব সংসদ’র চেয়ারপার্সন মো: আমিনুল ইসলাম (ফিরোজ মোস্তফা)। প্রকল্প উপস্থাপন করেন প্রতীকি যুব সংসদ’এর নির্বাহী প্রধান  সোহানুর রহমান।
বক্তব্য রাখেন,বরগুনা প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি চিত্ত রঞ্জন শীল, উন্নয়ন সংগঠন সিবিডিপির নির্বাহী প্রধান মো. জাকির হোসেন মিরাজ, অন্বেসার নির্বাহী প্রধান সামসুদ্দীন সানু, জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান হোসনে-আরা চম্পা, সুশীলন’এর  প্রকল্প ব্যাবস্থাপক ইসমাইল হোসেন, নারীনেত্রী সোহেলী পারভীন ছবি, লোকবেতার স্টেশন ম্যানেজার মনির হোসেন কামাল প্রমুখ। 

সভায় নির্যাতনকারী কারা, শিশু ও নারীরা কোথায় নিরাপদ, নারী ও শিশুর প্রতি জেন্ডারভিত্তিক নির্যাতন প্রতিরোধে করণীয় বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি নারী ও শিশুর প্রতি জেন্ডারভিত্তিক নির্যাতন প্রতিরোধে ভিডিও চিত্র প্রদর্শণ করা হয়।

বক্তারা বলেন, নারী-শিশুর জন্য একটি নিরাপদ সমাজ-রাষ্ট্র গঠনে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তরুণরা এগিয়ে আসতে হবে। নারী-শিশুর প্রতি নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

সবশেষে ‘নারী ও শিশুর প্রতি সকল প্রকার নির্যাতনকে না বলুন’ এই আশাবাদ ব্যক্ত করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *