1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৩ অপরাহ্ন
৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
Latest Posts
📰আশাশুনিতে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত📰প্রত্যেক উপজেলায় একটি সরকারি মাদ্রাসা করার সুপারিশ: সাতক্ষীরা ডিসি📰হাসিনাকে ফেরত না দিলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক সুখের হবে না: ড. ইউনূস📰পাশের দেশের মিডিয়া মিথ্যা প্রচার করে বেশি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা📰সাতক্ষীরার তিন নারী ফুটবলারকে গণসংবর্ধনা দেবে জেলা প্রশাসন📰জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ 📰সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শিশু শ্রম ও শিশু অধিকার বিষয়ক সিসিডিবি’র কর্মশালা📰জমজমের পানি পানে ৮ নির্দেশনা দিলো সৌদির📰দুহাত তুলে দোয়া চাইলেন পলক📰চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রিতে

নদ ও নদীর পার্থক্য—-ডক্টর মোহাম্মদ আমীন

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২০
  • ৬৩৪ সংবাদটি পড়া হয়েছে

কোনও জলপ্রবাহের নাম যদি মহিলাবাচক হয় তাহলে নদী এবং পুরুষবাচক হলে নদ। গঙ্গা, সরস্বতী, যমুনা, পদ্মা, গৌরী, ভাগীরথী, চিত্রা, নর্মদা, কাবেরী, কৃষ্ণা কর্ণফুলী প্রভৃতি মহিলাবাচক নাম, তাই নদী লেখা হয়। কপোতাক্ষ, ব্রহ্মপুত্র, নারদ, ভৈরব, কুমার, মুসা খান, মির্জা মাহমুদ প্রভৃতি পুরুষবাচক নাম, তাই নদ লেখা হয়। অনেকে মনে করেন, যে জলস্রোতের নামের শেষে আ-কার কিংবা ই-কার থাকে তাকে নদী বলা হয়। অন্যদিকে যে জলস্রোতের নামের শেষে আ-কার কিংবা ই-কার থাকে না তাদের নদ বলে। যেমন-তুরাগ, কপোতাক্ষ, ব্রহ্মপুত্র, নীল, বালু, সাঙ্গু প্রভৃতি নদ নামে পরিচিত।তবে এ সূত্রের কিছুটা ব্যতিক্রম ও বিতর্ক লক্ষণীয়। সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য সূত্র হল : নামের শেষে যদি আকার, একার, ওকার, ঔকার প্রভৃতি থাকে তবে নিশ্চিতভাবে সে প্রবাহগুলো নদী নামে অভিহিত হবে। নামের শেষে এগুলো না-থাকলে এবং শুধু হ্রস্ব উ-কার থাকলে সেটি নদ হবে। যেমন : ‘আড়িয়ালখাঁ’ পুরুষজ্ঞাপক নাম হলেও শেষে আকার রয়েছে। সে জন্য এটি নদ না হয়ে নদী। কিন্তু ‘মুসা খান’ নামের অন্ত-বর্ণ ‘দন্ত্য-ন’-এর পরে আকার একার কিছু নেই, এ জন্য এটি নদ। ‘সিন্ধু’ বানানের শেষে যেহেতু হ্রস্ব উ-কার রয়েছে, সেহেতু এটি নদ। একইভাবে ‘বালু’ একটি নদ। ‘নীল’ স্ত্রী নাম জ্ঞাপক একটি প্রবাহ। যেহেতু এর শেষে আকার, একার কিছু নেই, সে জন্য এটি নদ। এভাবে ‘ঘাঘট’ স্ত্রী নাম জ্ঞাপক জলপ্রবাহ হলেও অন্তবর্ণ ‘ট’-এর পরে আ-কার, এ-কার নেই, তাই এটি নদ।অনেকে নদ ও নদীর আরও একটি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেন। সেটি হল – একটি সর্বদা পূর্ব-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয় এবং অন্যটি সর্বদা উত্তর-দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে থাকে। নদীর প্রবাহদিক খেয়াল করে থাকলে নদের প্রবাহদিক অনুধাবন করা যায়। আবার কারও কারও মতে, নদের কোন শাখা বা উপশাখা হয় না। পুরুষবাচক নাম বলে হয়তো এমন ধারণা। তবে এর কোন ভিত্তি নেই। ব্রহ্মপুত্র নদ হলেও শাখা আছে। যেমন : শীতলক্ষ্যা ও যমুনা যদি ব্রহ্মপুত্রের শাখা। আসলে, নদ ও নদীর সঙ্গে শাখা থাকা না-থাকা নিয়ে কোন সম্পর্ক নেই। এটি সম্পূর্ণ ব্যাকরণগত এবং ভারতীয় পুরাণ বা প্রচলিত প্রবাদের উপর নির্ভরশীল। আমাদের উপমহাদেশের সংস্কৃতিতে নদ ও নদীকে যথাক্রমে নারী ও পুরুষ হিসেবে ভাগ করার পেছনে পুরাণ, ধর্মীয় ও লোকজ বিশ্বাসের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শাখা থাকুক আর নাই থাকুক, ব্রহ্মার পুত্র ব্রহ্মপুত্রকে মেয়ে ভাবার কোন সুযোগ নেই। তেমনি হিমালয়দুহিতা গঙ্গা, সে তো নারী ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। পারে কি?————————————–সর্বজনীন/সার্বজনীন—————–‘সর্বজনীন’ ও ‘সার্বজনীন’ উভয় শব্দ শুদ্ধ কিন্তু অর্থ ভিন্ন। তাই দুটো শব্দকে অভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা সমীচীন নয়। অনেকে ‘সর্বজনীন’ অর্থে ‘সার্বজনীন’ লিখে থাকেন। শব্দ দুটোর আভিধানিক অর্থ না-জানার জন্য এমন ভুল হয়। ‘সর্বজনীন’ শব্দের অর্থ ‘সকলের মঙ্গল বা সবার হিত বা কল্যাণ বা সকলের মঙ্গলের জন্য কৃত বা সকলের জন্য উদ্দিষ্ট’। যেমন :‘মানবাধিকার সর্বজনীন অধিকার হিসেব স্বীকৃত।’ অন্যদিকে, ‘সার্বজনীন’ শব্দের অর্থ ‘সবার মধ্যে প্রবীণ বা সবার মধ্যে শ্রেষ্ঠ’। যেমন: (১) নেলসন মেন্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার একজন সার্বজনীন নেতা। (২) সার্বজনীন দুর্গাপূজায় আপনাকে স্বাগত’। দ্বিতীয় বাক্যের অর্থ হচ্ছে : সর্বশ্রেষ্ঠ দুর্গাপূজায় আপনাকে স্বাগত। সুতরাং ‘সবার হিতের জন্য’ অর্থে ‘সকলের মধ্যে প্রবীণ বা সবার মধ্যে শ্রেষ্ঠ’ বলা বিধেয় নয়। অনেকে মনে করেন ‘সার্বজনীন’ শব্দটি ভুল কিন্তু এটি ভুল নয়। তবে ‘সর্বজনীন’ অর্থে সার্বজনীন’ শব্দের ব্যবহার কখন সমীচীন তা ভেবে দেখা প্রয়োজন

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd