দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে আ.লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন মিথ্যাচার করেছেন দাবী করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম।
বুধবার দুপুর ২টায় দেবহাটা প্রেসক্লাব হলরুমে তিনি সংবাদ সম্মেলনটি করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাশেদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ১০ নভেম্বর দেবহাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন আমাকেসহ জেলা আ.লীগের সাবেক সদস্য আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম, পারুলিয়া ইউপি সদস্য গাজী শহীদুল্যাহ ও উপজেলা আ.লীগের সাবেক সাংষ্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আজিজকে নিয়ে যে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছে শুরুতেই তার নিন্দা জানাই। ১৯৯১ সালে সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ থেকে আমি রাজনৈতিক অঙ্গনে যাত্রা শুরু করি। আমি দীর্ঘ ১৩ বছর দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগ প্রতিষ্ঠাসহ দুই মেয়াদে টানা একযুগ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। আমাকে মাদকসেবী আখ্যায়িত এবং আমার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে ঝাঁটা মিছিল হয়েছে বলে রতন যে তথ্য উপস্থাপন করেছে তা সম্পূর্ন উদ্দেশ্য প্রনোদিত। ২০১৩ সালে কাদের মোল্যার ফাঁসি কার্যকরের পর জামায়ত-শিবির আমাকে হত্যার জন্য আমার বাড়ীতে হামলা চালায়। বর্তমানে সেই মামলাও আদালতে চলমান রয়েছে।
রাশেদুল বলেন, রতন ব্যাক্তিগতভাবে মদ, নারী ও জুয়ার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। এমন কোনো অপকর্ম নেই যার সাথে তিনি জড়িত নন। নিজের অপকর্ম ঢাকতে তিনি এই মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গাজী শহীদুল্যাহ পারুলিয়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি। সহিংসতাকালীন সময়ে গরানবাড়ীয়ার নিহত শ্রমিকলীগ নেতা আলমগীর হত্যা মামলাসহ ৪টি নাশকতা মামলার বাদী শহীদুল্যাহ। রতন বর্তমানে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়ায় ধরাকে সরাজ্ঞান করছে। গত এক দশক পূর্বে নিঃসম্বল থাকলেও পাঁচ বছর চেয়ারম্যান হয়ে রতন এখন শত শত বিঘা সম্পত্তি ও কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। শহীদ আবু রায়হান হত্যা মামলার আসামীদের থেকে অর্থ সংগ্রহ এবং বনদস্যুদের সাথে সম্পৃক্ততার যেসব অভিযোগ শহীদুল্যাহর বিরুদ্ধে রতন করেছেন তাও নিছক ষড়যন্ত্র মুলোক। রাশেদুল বলেন, উপজেলা আ.লীগের সাবেক সংষ্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে রতনকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার যে মামলা দেয়া হয়েছে, তাও নাটকীয়। বর্তমানে ওই মামলাটি আদালতে বিচারাধীন, আজিজ দোষী হলে আদালত তাকে শাস্তি দিবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আজিজ ও তার পরিবার রতনের ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবী করে রাশেদুল ইসলাম বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলামকে রতন দালাল বলে আখ্যা করেছেন। প্রকৃতপক্ষে ওই দালালীর কাজ চেয়ারম্যান রতনই ভালো বোঝে।
সবশেষে চেয়ারম্যান রতনের অঢল অবৈধ বিত্তবৈভবের উৎস খুজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দূর্নীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন রাশেদুল ইসলাম।
Leave a Reply