অনলাইন ডেস্ক:
জাতীয় চার নেতা হত্যার পেছনে শুধু বিপদগামী সেনা সদস্যরাই নয়, এর পেছনে বড় একটি ষড়যন্ত্র ছিলো বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও জাতীয় চার নেতা স্মৃতি জাদুঘরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় চার নেতা হত্যায় যারা জড়িত তাদেরকে দেশে ফেরত আনার জন্য সরকার সর্বোচ্চ আন্তরিক।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু বিপদগামী সেনা সদস্যই নয়। জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পেছনে আরও বড় একটি ষড়যন্ত্র ছিলো। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের মুখোমুখী উন্মোচন করা হবে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
এসময় জেলহত্যা মামলার পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনতে আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ ডাক্তার সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজী সেলিম, কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন, কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরের এই দিনে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সেদিন খুন হন অস্থায়ী সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, প্রবাসী সরকারের অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলী এবং স্বরাষ্ট্র, কৃষি ও ত্রাণমন্ত্রী এএইচএম কামারুজ্জামান।
কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এ ধরনের হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড ছিলে একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।
Leave a Reply